দু’মাস পরে মাঠে ফিরছেন ফুটবলাররা, আজ থেকে শুরু বুন্দেশলিগা

অবসান হতে চলেছে দীর্ঘ অপেক্ষার। ফুটবলপ্রেমীদের নিরাশা কাটিয়ে দু’মাস পরে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বুন্দেশলিগা। মহামারীর আতঙ্ক, মৃত্যুমিছিল— এসবের মধ্যেই ফিরল জনপ্রিয় এই জার্মান ফুটবল লিগ। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে আগামী খেলাগুলি।

বেশ কয়েকদিন আগেই ধাপে ধাপে শিথিল করা হলেও, লকডাউন পুরোপুরি তোলা হয়নি জার্মানি থেকে। সংক্রমণের হার শূন্য হয়নি এখনো। ১৬ হাজার মানুষ এই মুহূর্তে আক্রান্ত সেই দেশে। তাই এসবের মধ্যেই লিগ শুরু করার জন্য নেওয়া হচ্ছে বিশেষ সতর্কতা। ফুটবলারদের জন্য বানানো হয়েছে কঠোর নিয়মবিধি এবং পরিকাঠামো। লিগ চলাকালীন ফুটবলাররা অনুশীলনের বাইরে টিম হোটেল ছাড়া কোথাও যেতে পারবেন না। পাশাপাশি দর্শকশূন্য মাঠেই খেলতে হবে খেলোয়াড়দের। ম্যাচ শুরুর আগে তোলা যাবে না গ্রুপফটো। করা যাবে না করমর্দনও। মাঠে থুথু ফেলাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবেই গণ্য হবে। এমনটাই জানাচ্ছে বুন্দেশলিগার নতুন নির্দেশিকা। সেইসঙ্গে লিগ কর্তৃপক্ষ বাধ্যতামূলক করেছে ফুটবলারদের প্রতিদিনের করোনার টেস্ট।

লকডাউনের সাময়িক বিরতির পর ফুটবল জগতকে আজ ছটি খেলা উপহার দিচ্ছে বুন্দেশলিগা। ভারতীয় সময় ৭টা থেকে হবে পাঁচটি ম্যাচ, অন্যটি রাত ১০টা থেকে। শুরুতেই উল্লেখযোগ্য আকর্ষণ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড এবং শালকা’র ম্যাচ। সেইসঙ্গে রবিবার মাঠে নামবে লিগ শীর্ষে থাকা বায়ার্ন মিউনিখ। তবে দর্শক শূন্য স্টেডিয়ামে খেলার জন্য হতাশ অনেক ফুটবলারই। খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতে বরুশিয়া’র মতো বেশ কয়েকটি জার্মান দল উদ্যোগ নিয়েছে স্ট্যান্ডে কার্ডবোর্ডের দর্শক রাখতে।

তবে সমস্ত রকম সতর্কতা নিলেও আশঙ্কা তো থেকেই যায়। আর সেই ব্যাপারেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিতর্কের মুখ্য প্রসঙ্গ হয়ে উঠেছে করোনার আবহে বুন্দেশলিগার প্রত্যাবর্তন। আর্থিক মন্দা কাটাতে এই সিদ্ধান্তকে যুক্তিযুক্ত নয় বলেই দাবি করছেন অনেকে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে নতুন জল্পনাও। জার্মান এই মডেলকেই কি অনুসরণ করবে বাকি দেশের লিগগুলি? এই প্রশ্নই এখন পাক খাচ্ছে গোটা দুনিয়ার ফুটবলপ্রেমীদের মাথায়…