আকাশ থেকে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে লোহা, ৬৪০ আলোকবর্ষ দূরের গ্রহের সন্ধান

পৃথিবী থেকে এই গ্রহের দূরত্ব ৬৪০ আলোকবর্ষ। গ্রহটির একদিকে আবার সবসময় দিন, অন্যদিকে সবসময় রাত। মানে ঠিক চাঁদে যেমন হয়। আর এই দুইদিকের মাঝখানে সন্ধেবেলা। সেখানে ঝড়বৃষ্টি লেগেই আছে। প্রবলবেগে হাওয়া বয়। আর বৃষ্টি মানে তো যে সে বৃষ্টি নয়। এখানে আকাশ থেকে জল নয়, লোহা ঝড়ে পড়ে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। এমনই গ্রহের সন্ধান পেলেন সুইৎজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। আর সেই গবেষণা প্রকাশ পেল ‘নেচার’ পত্রিকায়।

আরও পড়ুন
চাঁদই একমাত্র নয়, পৃথিবীর আরও একটি ‘উপগ্রহের’ সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

গ্রহের নাম ডব্লিউএএসপি-৭৬বি। তার একদিকে প্রবল উষ্ণতায় লোহা গলে যায়, অন্যদিকে অবশ্য তুলনায় বেশ ঠান্ডা। এই গ্রহের নিকটতম নক্ষত্র এতটাই কাছে, যে বার্ষিকগতি মাত্র ৪৩ ঘণ্টা। আর মজার ব্যাপার হল, আহ্নিকগতিও তাই। আর তারফলেই একদিকে সবসময় দিন, আর অন্যদিকে সবসময় রাত। এর ফলেই দুই দিকের উষ্ণতার পার্থক্যও ব্যাপক। এমনটাই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানী ডেভিড এরেনরিখ।

আরও পড়ুন
সৃষ্টির শুরুতে জলমগ্ন ছিল পৃথিবী, তার মধ্যেই জন্ম প্রথম প্রাণের

তবে এখনও অবধি এই গ্রহকে ঘিরে রহস্যও প্রচুর। যেদিকে রাত, সেদিক থেকে প্রায় কোনো তথ্যই এসে পৌঁছয়নি। এটুকুই জানা গেছে যে, সেদিকে লোহার কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে অন্যদিকে লোহার পরিমাণই বেশি। আর প্রায় ২৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় লোহা বাষ্পে পরিণত হয়। সেই বাষ্প সন্ধের অঞ্চলে গিয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। অবশ্য ভোরের অঞ্চলে কিন্তু কোনো ঝড়-বৃষ্টিই নেই। চিলির ‘এস্প্রেসো অবজারভেটরি’তে এখন জোর কদমে চলছে তথ্যের বিশ্লেষণ। এই গ্রহ সম্বন্ধে আরও নতুন কী কী তথ্য জানা যায়, সেদিকেই তাকিয়ে বিজ্ঞানীরা…