চাষের পদ্ধতি শেখাতে ক্যামেরা হাতে তুলে নিলেন মহিলা চাষিরা

এ-দেশের বহু মানুষ যে কৃষিকাজ করে জীবন নির্ধারণ করেন, তা সকলেরই জানা। মূলত কৃষিনির্ভর দেশ হলেও কৃষিক্ষেত্রে তেমন উন্নত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি এখনও। সে তুলনায় প্রথম বিশ্বের দেশগুলো কয়েক মাইল এগিয়ে রয়েছে। অনেকেই এর পেছনে শিক্ষার মানকে দায়ী করেন। তাই বীজ বপনের নতুন শিক্ষা পদ্ধতি শুরু হল এই তিন মহিলার উদ্যোগে।

চেঞ্চু উপজাতির গ্রাম আপ্পাপুর পেন্টায় তিনজন চাষির উদ্যোগে ভিডিওর মাধ্যমে চাষ করার শিক্ষা দেওয়ার এই প্রচেষ্টা সত্যিই অভিনব। হাল আমলে শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্রই যে কোনো শিক্ষাকে সহজে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছাবার মাধ্যম হল ভিডিও। আর সেই প্রযুক্তিকেই অনুসরণ করলেন এই তিনজন। দুজন ক্যামেরার পেছনে, এবং একজন ক্যামেরার সামনে চাষের পদ্ধতি ও বীজ বপনের পদ্ধতি বোঝাচ্ছেন, মূলত এমন দৃশ্যই দেখা গেছে ভিডিওতে।

লক্সমাম্মা বি, মোলাম্মা ও চন্দ্রাম্মা নামের এই তিনজন এর উদ্যোক্তা। এঁরা প্রত্যেকেই দলিত, কিন্তু চাষের পদ্ধতিকে সাধারণ চাষিদের কাছে সহজে পৌঁছে দিতে তাঁরা নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে এগিয়ে এসেছেন। অনেক চাষি সঠিক ভাবে চাষাবাদ করতে জানেন না, বইপত্র পড়াও তাঁদের কাছে একরকম অসম্ভব ব্যাপার। তাই কী উপায়ে সহজে তাঁদের  বীজ বপনের পদ্ধতি শেখানো যায়, তা শেখাতেই এমন উদ্যোগ এই তিনজনের।

চাষাবাদ যে খুব সহজ নয়, তা মানেন চাষিরাও। আবহাওয়া, চাষপদ্ধতি ইত্যাদির ওপর অনেকখানি নির্ভর করে বিভিন্ন চাষের ফলন। তাই ডেকান ডেভেলপমেন্ট সোস্যাইটির এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। এই এনজিও-টি এ-মূহূর্তে ওই এলাকার পঁচাত্তরটি গ্রামে মহিলাদের নিয়ে চাষাবাদে এক ধরণের বিপ্লব ঘটাচ্ছে বলা যায়। আগামী দিনে এমন উদ্যোগ সফল হলে পাল্টে যাবে এ দেশের চাষের গুণমান, তা নিশ্চিন্তে বিশ্বাস করা যায়।