বৃক্ষচ্ছেদন নয়, অন্যান্য বনজ দ্রব্যেই বাড়বে আয়; আদিবাসী উন্নয়নে নয়া পন্থা ত্রিপুরার

ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে ঘিরে আছে বৈচিত্রপূর্ণ ঘন বনভূমি। সেই অরণ্য অঞ্চলের মাঝেই ছোট রাজ্য ত্রিপুরা। অথচ এতদিন সেখানে সমস্ত বননীতির লক্ষ্য ছিল জঙ্গলের কাঠ। এছাড়াও যে জঙ্গলের মধ্যে থেকে নানা ধরনের অর্থকরী উপাদান সংগ্রহ করা যায়, সেদিকে নজর দেননি সরকার। অবশেষে সরকার সেদিকে দৃষ্টি দিল। সম্প্রতি রাজ্যের সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রথম নন টিম্বার ফরেস্ট পলিসি গ্রহণ করতে চলেছে সরকার। আর এই প্রকল্পে গুরুত্ব দেওয়া হবে বাঁশ, এলাচ এবং ঝাড়ুফুলের মতো বিভিন্ন অর্থকরী উপাদানের দিকে। সেইসঙ্গে অরণ্যের মধ্যে বাস করা উপজাতি সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার দিকেও নজর দেওয়া হবে।

ত্রিপুরার বনভূমি অঞ্চল ভারতের অন্যতম বৈচিত্রপূর্ণ একটি অঞ্চল। এই অরণ্যের উন্নতির জন্য সম্প্রতি ১০০০ কোটি টাকা অনুদান ঘোষণা করেছে জাপানের জিকা কোম্পানি। সেই অনুদানের ২৫ শতাংশই বিভিন্ন নন টিম্বার পলিসির কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। তাছাড়া বাকি অর্থে বনভূমির ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কাজে লাগানো হবে। এমনকি উপজাতি সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার উন্নতির দিকেও নজর দেবে সরকার।

২০০৭ সালে প্রথম ত্রিপুরার বনভূমির উপর অর্থ লগ্নি করে জিকা কোম্পানি। তবে সেবারের বরাদ্দ অর্থ ছিল মাত্র ৪ কোটি। তবে এই প্রকল্পের ফলে ত্রিপুরার অরণ্যনির্ভর অর্থনীতি অনেকটাই উন্নত হয়েছে। আগের লগ্নির মেয়াদ ফুরিয়েছে ৩ বছর আগে। পুনরায় লগ্নির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিকা কোম্পানি। আর এবারের অর্থের পরিমাণও অনেকটাই বেশি। তবে সরকার কি এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নতির পাশাপাশি পরিবেশের দিকেও সমান নজর দিতে পারবেন? নতুন নীতিকে ঘিরে তাই যথেষ্ট উৎসাহী পরিবেশ আন্দোলনের কর্মীরা।