আকাশ থেকে খসে পড়বে মানুষ! ভবিষ্যদ্বাণী স্বঘোষিত ‘টাইম ট্রাভেলার’-এর

কোথাও কিছু নেই। বিমান দুর্ঘটনাও নয়। অথচ, রোদ ঝলমল আকাশ থেকে যদি হঠাৎ করে বৃষ্টির মতো মানবদেহ ঝরে পড়ে? ভাবছেন এ আবার কোন রুদ্ধশ্বাস অ্যাডভেঞ্চার সিনেমার কথা হচ্ছে? না, কোনো চলচ্চিত্র নয়। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন মাসের ১৮ তারিখেই ঘটতে চলেছে এমনই এক আশ্চর্য ঘটনা। আকাশ থেকে খসে পড়বেন সাত-সাত জন ব্যক্তি।

হ্যাঁ, সম্প্রতি টিকটকে এমনই এক আশ্চর্য ভবিষ্যদ্বাণী করলেন এনো আলারিক (Eno Alaric) নামের এক ব্যক্তি। না, কোনো জ্যোতিষী কিংবা ‘বাবা’ নন এনো। কোনো অলৌকিক ক্ষমতাও নেই তাঁর। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তবে কীসের ভিত্তিতে এই ভবিষ্যদ্বাণী? সেই উত্তর নিজেই দিয়েছেন এনো। আদতে তিনি নাকি ‘টাইম ট্রাভেলার’। এনো এসেছেন ২৬৭১ সালের পৃথিবী থেকে। অবশ্য এখনও পর্যন্ত তাঁর এই ‘স্বঘোষিত’ পরিচয় যাচাই করতে পারেননি কেউ-ই। তবে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। অনুরাগীর সংখ্যা ছুঁয়েছে কয়েক হাজার। 

তবে শুধু আকাশ থেকে মানুষ খসে পড়াই নয়। সবমিলিয়ে ভবিষ্যতের পাঁচটি অদ্ভুত গল্প শুনিয়েছেন তিনি। কী সেগুলি? প্রথমত, এনোর দাবি অনুযায়ী, চলতি বছরেই, আরও বিশেষ করে বলতে গেলে এই নভেম্বর মাসেই বিপ্লব আসতে চলেছে জ্যোতির্বিজ্ঞানের জগতে। আগামী ৩০ নম্ভেবরই জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ নাকি আবিষ্কার করতে চলেছে পৃথিবীর এক যমজগ্রহ। সেখানকার পরিবেশ হুবহু পৃথিবীর মতোই। চাইলে ভবিষ্যতে যেখানে অনায়াসেই গড়ে উঠতে পারে মানুষের উপনিবেশ। 

তাছাড়া ২০২৩ সালের পয়লা তারিখেই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের উপড় দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করেই হারিয়ে যাবে একটি যাত্রীবাহী বিমান। মার্চ মাসের ৩ তারিখে সমুদ্রের তলদেশ থেকে আশ্চর্য এক তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গের বার্তা উঠে আসবে বলেও দাবি তাঁর। তবে এসবের মধ্যে তাঁর যে ভবিষ্যদ্বাণীটি সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক তৈরি করেছে মানুষের মধ্যে, তা হল মেগা-সুনামি। আগামী ১৫ মে-ই নাকি ৭৫০ ফুট উচ্চতার ভয়াবহ এক সুনামি আছড়ে পড়বে ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে। তাসের ঘরের মতো ধুয়ে  যাবে সান ফ্রান্সিসকো। 

মজার বিষয় হল, মেগা-সুনামির এই একই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন আরও এক জ্যোতিষী। বাবা ভাঙ্গা। কাজেই এই ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হবে কিনা, তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই নেটিজেনদের। চর্চাও চলছে দেদার। তবে এনো আদৌ ভবিষ্যৎ-যাত্রী কিনা তার পরিচয় পাওয়া যাবে আগামী ৩০ নভেম্বরই, যদি আকস্মিকভাবেই আবিষ্কৃত হয় পৃথিবীর যমজগ্রহ। এখন তারই প্রহর গুনছেন মানুষ…

Powered by Froala Editor