গলা-অব্দি জল, তবু নদী পেরিয়ে ক্লাস নিতে যান এই শিক্ষিকা

শিক্ষকরা সবসময়ই সমাজে আলাদা সম্মান লাভ করেন। অনেক শিক্ষকই তাঁদের কীর্তির জন্য পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আদর্শ ও অনুপ্রেরণা হিসেবে উঠে এসেছেন। ওড়িশার শিক্ষিকা বিনোদিনী সামাল তেমনই একজন। শিক্ষকতার প্রতি তাঁর নিষ্ঠার জন্যেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি।

৪৯ বছরে যখন বেশিরভাগ মানুষই আরামের জীবন বেছে নেয়, সেখানে বিনোদিনী রোজ সাপুয়া নদী পেরিয়ে রথিয়াপাল প্রাথমিক স্কুলে ছোট-ছোট বাচ্চাদের পড়াতে যান। যদিও বর্ষাকালে সাপুয়া নদী পেরোনো সহজ নয় মোটেই। নদীটির ওপর কোনো ব্রিজ তৈরি হয়নি এখনও অব্দি। নিজের জিনিসপত্র একটা প্লাস্টিক ব্যাগে রেখে, গলা অব্দি গভীর জলের ভেতর দিয়ে হেঁটে পার হন বিনোদিনী। স্কুলে অন্য শাড়ি রাখা থাকে, যা তিনি গিয়ে পরে নেন। একবার এভাবে পার হতে গিয়ে জলের ধাক্কায় ভারসাম্য হারিয়ে ভেসেও গিয়েছিলেন খানিকটা। তবু হাল ছাড়েননি। ২০০৮ সালে প্রথমে প্রতি মাসে ১৭০০ টাকার চুক্তিতে পার্শ্ব শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছিলেন তিনি। ৮ বছর পর, স্থায়ী শিক্ষক পদে প্রোমোশন হওয়ার কথা হলেও, বাস্তবে তা হয়নি। বর্তমানে তাঁর মাইনে মাত্র ৭,০০০ টাকা।

শরীর খারাপ হলেও স্কুল একদিনও ছুটি নেন না বিনোদিনী। তাঁর মতে, ঘরে বসে সময় নষ্ট করার থেকে কাজ করা অনেক বেশি ভালো। এরকমই এক অদম্য সাহসী প্রাণের নাম বিনোদিনী সামাল।