ভাইয়ের মৃত্যুর শোকে এক্সপ্রেসওয়ে নিরাপদ করলেন এই ব্যক্তি

সড়ক দুর্ঘটনা ভারতে আকছার ঘটে। কিন্তু দুর্ঘটনার পরে এরকম মানবিকতার দৃশ্য খুব বেশি দেখা যায় না। ডিসেম্বর ১২, ২০১২-তে মুম্বাই-পুনে এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হয় তন্ময় পেন্ডসের ভাই অক্ষয় পেন্ডসে, তার ২ বছরের ছেলে এবং বন্ধু আনন্দ অভ্যাঙ্কর। রাস্তায় ডিভাইডারের অভাবে ট্রাকটি উল্টো দিকের লেনে চলে আসে। আর এতেই ঘটে যায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।   

তা সত্ত্বেও, সাধারণ অভিযোগে না করে এই ২৮ বছরের যুবক অন্য পথ ঠিক করেন। আর এখানেই তিনি হয়ে ওঠেন ব্যতিক্রমী। দেড় বছর ধরে বিভিন্ন রাস্তা সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ,  রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ, ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে দেখা করে ২০০ পাতার রিসার্চ পেপার তৈরি করেন তন্ময়। ডিভাইডারের অভাবকে ঠিক করার জন্য তিনি ব্রিফেন তার ব্যবহার করার কথা বলেন। মহারাষ্ট্র স্টেট রোড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেটের সাথে কাজ করে, মুখ্যমন্ত্রীর বদান্যতায় ২০১৩ সালে ৯৪.৫ কিলোমিটারের মুম্বাই-পুনে এক্সপ্রেসওয়ের ৪০ কিলোমিটার ধরে এই তার লাগানো হয়। এই তার হয়ে ওঠে এক্সপ্রেস ওয়ের একমাত্র ডিভাইডার। তার লাগানোর পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজেও তিনি যুক্ত হন। সব মিলিয়ে তার নিজের পকেট থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করেন তিনি। সৌভাগ্যবশত, ওই রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্টের সংখ্যা ৩৮% কমে আসে।

 তাঁর মতে, তিনি চান না তাঁর মতো কাছের মানুষ হারানোর দুঃখ অন্য কেউ পাক, তাই নিঃস্বার্থ ভাবে এই কাজ করে চলেছেন পুনের তন্ময় পেন্ডসে। এরপর যাতে আর এরকম দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য নিজেকে লড়িয়ে দিয়েছেন তন্ময়। ভবিষ্যতে এরকম দুর্ঘটনা না ঘটলেই তন্ময়ের এই প্রয়াস সার্থক হবে।

More From Author See More