পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে প্রকাশিত পত্রিকা, একদিনেই জোগাড় লক্ষাধিক টাকা

করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব৷ দীর্ঘদিন লকডাউনের ফলে উপার্জন নেই বহু মানুষের৷ অসংগঠিত শ্রমিকদের কথা সত্যি কী ভাবছি আমরা এই কঠিন সময়ে? দিন আনা দিন খাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা অনেকেই ফিরতে পারেননি নিজেদের বাড়ি, হয়তো হারিয়েছেন কাজও৷ আর সেইসব কর্মহীন, অসংগঠিত মানুষদের জন্যে এবার এগিয়ে এল কলকাতা শহরের কয়েকজন যুবক-যুবতী৷ সাহিত্যের হাত ধরে যে এভাবে অসহায়দের মুখে হাসি ফোটানো যায়, তা বোধহয় ভাবতে পারেননি কেউই৷

বেশিদিন আগের কথা নয়। খানিকটা ব্যক্তিগত ইচ্ছে থেকেই, দিন তিনেক আগে 'সমন্বয়' নামের একটি ই-বুক পত্রিকার পরিকল্পনা করা৷ ইচ্ছে ছিল, পয়লা বৈশাখেই প্রকাশিত হোক পত্রিকাটি। কিন্তু হাতে সময় কম। তাই ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই কাজ সম্পাদনা করতে শুরু করলেন নির্মাল্য সেনগুপ্ত৷ পাশে পেলেন অনেক বন্ধু-বান্ধবদেরও।

প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই পত্রিকা পৌঁছে গেল অসংখ্য লোকের কাছে। মাত্র তিনদিনেই উঠেছে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা, যা দিয়ে তাঁরা রাজ্যের বিভিন্ন পরিযায়ী শ্রমিকদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

সাহিত্য যে এক বিরাট সংযোগ মাধ্যম, তা আরও একবার প্রমাণ হল এই কাজে৷ বাংলা সাহিত্যের আঙিনায় তথাকথিত বিখ্যাত লেখক-লেখিকারাও যেমন লিখেছেন এই পত্রিকায়, তেমন উঠে এসেছে তরুণ লেখক-কবিদের লেখাও৷ এছাড়াও পাশে ছিলেন বন্ধুরা, যাঁরা শুরু থেকে শেষ অবধি পত্রিকাটিকে সফল ও সুন্দর করে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছেন৷

পত্রিকাটিতে কবিতা, গল্প, গদ্য, ছবি, সাক্ষাৎকার - প্রায় সব বিভাগের লেখাই রয়েছে৷ আর সেই লেখার সমন্বয়ই হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াবার হাতিয়ার৷ এ-পত্রিকা শুধুমাত্র সাহিত্যের দিক থেকেই অমূল্য নয়, বরং সাহিত্যকে মাধ্যম করে যে মানবতার দিকটি তুলে ধরেছেন নির্মাল্যরা, তা এক কথায় অতুলনীয়।

নির্মাল্য প্রহরকে জানান, আগামী দিনেও যে-কোনো বড়ো বিপদে এই পত্রিকা এগিয়ে আসবে এভাবেই। মানুষের পাশে দাঁড়াবে সাহিত্য৷ এতদিন গল্প-কবিতা-গানকে আমরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের হাতিয়ার হয়ে উঠতে দেখেছি। কিন্তু করোনা-সংকটে, একটা পত্রিকা বানিয়েও যে বহু অসংগঠিত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো যায়, তা হয়তো কলকাতা শহর এই প্রথম দেখল।

নির্মাল্য জানান, অন্তত ৯৯ টাকা মূল্য দিলেই এ-পত্রিকা সবার কাছে পৌঁছে যাবে। মাত্র তিনদিনে এই পত্রিকা সম্পাদনা করলেও, তিনি জানান, এই পত্রিকা তাঁর একার নয়, সবার। এমনকি পাঠকেরও। তাই হয়তো পত্রিকাটির নাম রাখা হয়েছে 'সমন্বয়'৷ প্রচ্ছদও যেন বলার চেষ্টা করে সেই কথাই। আমরা হার মানিনি। মানব না। লড়াই জারি আছে এখনও…

ইটি কিনতে চাইলে, নিম্নলিখিত অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে, নম্বরগুলির যে-কোনো একটিতে স্ক্রিনশট পাঠালেই বই পৌঁছে যাবে আপনার কাছে -

টাকা পাঠানোরঃ
গুগুল পে - 9038399847 (স্বর্ণাভ দে)
ফোন পে - +919748917237 (নির্মাল্য সেনগুপ্ত)
paytm - +919007338500 (পলাশ হক)
ব্যাঙ্কিং ডিটেইলসঃ
account no: 36080525879
Ifsc code: SBIN0004605
Bank: State Bank of India
Brunch: NAGERBAZAR
NIRMALYA SENGUPTA
স্ক্রিনশট পাঠিয়ে বই নেওয়ার যোগাযোগঃ
হোয়াটসঅ্যাপঃ
১) 9038399847 (স্বর্ণাভ দে)
২) 82748 33280 (অভীক রায়)
৩) 9748917237 (নির্মাল্য সেনগুপ্ত)
ইমেইল-আইডি
[email protected]