লকডাউনেও বন্ধুত্বের উদযাপন, সারেগামাপা-র ১৬ জন প্রতিযোগী গান তৈরি করলেন একসঙ্গে

এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে তো বটেই, গোটা পৃথিবীতে চলছে একটা যুদ্ধ। করোনা-যুদ্ধ। তবে এর মধ্যেও এগিয়ে চলছে জীবন। সেই ঝড়-জল-আনন্দ-রোদ জ্বলজ্বল করা মুহূর্তগুলোর পাশে হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়ে থাকে একটাই শব্দ— ‘বন্ধু’। একে অন্যের দিকে হাত বাড়িয়ে এই স্তব্ধ সময়ও বন্ধুত্বের বাঁধন দৃঢ় করি আমরা সবাই। ঠিক যেমন করেছেন সারেগামাপা-খ্যাত সঙ্গীতশিল্পীরা। বন্ধুত্বের গান নিয়েই তাঁরা এসেছেন আমাদের সামনে। নববর্ষের দিনই প্রকাশ পেয়েছে তাঁদের নতুন গান ‘এসো বন্ধু’।

বছরের প্রথম দিন ভালো কিছু দিয়ে শুরু করার প্রথা চলে আসছে বহুকাল থেকে। কিন্তু বিপদ তো বলে আসে না। কিন্তু তার মধ্যেও দিনের শুরুটা ভালোভাবে করা যায়। বন্ধুত্বের উদযাপন আর গানের থেকে ভালো আর কী হতে পারে! সেই কাজটাই করেছেন অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, স্নেহা ভট্টাচার্য, গৌরব সরকার, স্নিগ্ধজিত ভৌমিক, অনন্যা চক্রবর্তী, অবন্তি সিঁথি, অভ্রতনু ঘোষ, রাহুল দত্ত, প্রীতম রায়, গুরুজিত সিং, সুমন মজুমদার, হৃতি টিকাদার, রিশিতা সাহা, আরমান লামা, তন্ময় বিশ্বাস, প্রতিভা দত্তরা। এদের প্রত্যেকেই রীতিমতো আমাদের ঘরের লোক। সারেগামাপা ২০১৮-১৯’র সময় বাংলার প্রতিটা কোণায় পৌঁছে গেছে এই নামগুলো। সেই বন্ধুদের মধ্যেই ১৬ জন একসঙ্গে এসে একটি গান তৈরি করলেন। নাম ‘এসো বন্ধু’। প্রত্যেকেই নিজেদের মোবাইলে গান এবং ভিডিও রেকর্ড করে পাঠিয়েছেন; তারপর সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে এই অসাধারণ ব্যাপারটি।

গানটির সঙ্গীতায়োজনের দায়িত্বে ছিলেন এই বন্ধুদেরই একজন, অভ্রতনু ঘোষ। ভিডিও ডিজাইনের দায়িত্বে ছিলেন আরেক বন্ধু রাহুল দত্ত। গানের কথা লিখেছেন অর্ঘ্য ব্যানার্জি। এক কথায়, এই ১৬ জনই সমস্ত দায়িত্ব সামলেছেন। নববর্ষের দিনে সবার সামনে এসেছে এই মিউজিক ভিডিওটি।

এই প্রসঙ্গে গৌরব সরকার প্রহরকে বলেছিলেন, “এসো বন্ধু’র এই একটা গান নিয়েই আপাতত আমরা পথ চলা শুরু করলাম। পরবর্তীতে আরও নানা কাজ আমরা দর্শকদের জন্য নিয়ে আসতে থাকব। আর যখনই নতুন কোনো গান আসবে, তখনই এই বন্ধুরাই থাকব। এই সময় একসঙ্গে হাত ধরে চলাটা খুব জরুরি। সামনাসামনি না হলেও ভার্চুয়ালি থাকব সবাই মিলে। ব্যস্ততা হয়তো থাকবে; কিন্তু তার মধ্যেও গান নিয়ে থাকব সবাই।”

সারেগামাপা’র ওই সিজনের বিজয়ী এবং এই টিমের অন্যতম সদস্য অঙ্কিতা ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, “স্বভাবতই আমরা খুব উত্তেজিত। এরকম লকডাউনের সময় যাতে আরও পাশে থাকা যায়, সেই চেষ্টাই করা। আমরা সবাই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি এখানে।” ইতিমধ্যেই দর্শকমহলে সমাদর পেয়েছে ‘এসো বন্ধু’। এখনও বহু মানুষ দেখছেন এই প্রয়াসটি। সব মিলিয়ে নবীন এই শিল্পীদের বন্ধুত্বের আহ্বানে সবাই সাড়া দিয়েছে, তা বলাই যায়।