শ্বশুরবাড়ির দেশ উত্তরবঙ্গে চাষবাসে বিপ্লব আনছেন মার্কিনি জামাই স্যামুয়েল

তাঁর জন্ম আমেরিকায়। বিয়ে করেছেন ভারতীয় মেয়েকে। সেই সূত্রেই ভারতের জামাই তিনি। তবে শ্বশুরবাড়ির দেশকে শুধু সেই সম্পর্কেই আবদ্ধ রাখেননি স্যামুয়েল ওভেন্স ফুঞ্জ। চেষ্টা করছেন কৃষিক্ষেত্রে নতুন কিছু করারও। আর সেটা এই ভারতের মাটিতেই।

কেবল জৈব সার ব্যবহার করেই সাত বিঘা জমিতে পেয়ারা, আম, আপেল, কাজুবাদাম ফলাচ্ছেন স্যামুয়েল। করছেন আট রকমের আমের চাষ। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জেলার খড়িবাড়ির বুড়াগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাকুয়াজোতে আদিবাসী কৃষকদের কর্মসংস্থান এসেছে তাঁরই হাত ধরে।

আমেরিকার এই কৃষক পরিবারের ছেলে স্যামুয়েল সাত বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কৃষিকাজ নিয়ে গবেষণা করেছেন। বুঝেছেন সারা পৃথিবী এখন রাসায়নিক সারের কুপ্রভাবের জন্য এর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কিছুদিন আগে নেপাল সরকারও অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের জন্যে ভারতের সবজি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তাই উত্তরবঙ্গে রাসায়নিক সারে শস্য উৎপাদন দেখে হতাশই হয়েছিলেন এই যুবক।

২০১৬ সালে স্যামুয়েল তাঁর স্ত্রী জারিনী ইজংরার নামে ডাকুয়াজোতে একটি জমি কেনেন। সেখানকার কৃষকদের নিয়েই শুরু করেন চাষ আবাদের কাজ। বছরের ছয় মাস স্বামী-স্ত্রী থাকেন আমেরিকার উত্তর ক্যারোলিনায়, বাকি ছয় মাস এখানে। ভবিষ্যতে স্যামুয়েল এখানে একটি কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে চান। সাহেব জামাই প্রচার বিমুখ হলেও, তাঁর কর্মসূচি কম প্রশংসা কুড়োয়নি।