৩ বাঙালি মহিলা বিজ্ঞানীকে স্বীকৃতি, চালু হতে চলেছে বিশেষ চেয়ার

বাঙালি শুধু সাহিত্যচর্চাই করেনি, বিজ্ঞানচর্চাও করেছে মন দিয়ে। একের পর এক পদক্ষেপে সাক্ষী থেকেছে। শুধু ছেলেরাই নয়, মেয়েরাও সমানভাবে এগিয়ে এসেছিল সেই কাজে। এবার সেইরকমই তিনজন বাঙালি মহিলা বিজ্ঞানীকে সম্মান জানাতে চলেছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। তাঁদের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভারতের ১১ জন মহিলা বিজ্ঞানীর নামে বিশেষ ‘চেয়ার প্রফেসর’ পদ চালু করা হবে।

আরও পড়ুন
১৪৩ বছর আগে ফরাসি ভাষায় সাহিত্যচর্চা বাঙালি তরুণীর, অকালপ্রয়াণে থেমেছিল সব

এই ১১ জনের মধ্যেই রয়েছেন তিনজন বাঙালি। তালিকায় আছেন বাংলা তথা ভারতের প্রথম মহিলা ডাক্তার ডাঃ কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়াও রয়েছেন অসীমা চট্টোপাধ্যায় ও বিভা চৌধুরী। রসায়ন নিয়ে ১৯৪৪ সালে ডক্টরেট করেন অসীমা। তিনিই বিজ্ঞানে দেশের প্রথম ডক্টরেট পান। এর ঠিক পাঁচ বছর পর, ১৯৪৯ সালে টাটা ইন্সটিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চে প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী হিসেবে নিযুক্ত হলেন বিভা চৌধুরী। স্বয়ং হোমী জাহাঙ্গির ভাবা তাঁকে নিয়োগ করেন।

আরও পড়ুন
১২ বছর বয়সে ক্যামেরায় হাতেখড়ি; বাংলাদেশের প্রথম নারী ফটোগ্রাফার তিনি

এই তিনজন ছাড়াও ছিলেন রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায়। কর্ণাটকের এই ইঞ্জিনিয়ার বিবাহসূত্রে বাংলার সঙ্গে আবদ্ধ হয়েছিলেন। নিজের রাজ্যের (কর্ণাটকের) প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার হয়েছিলেন তিনি। মোট ১১ জনের নামে এই বিশেষ চেয়ার চালু করা হল বিজ্ঞানের আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে খবর, গবেষণা ও কাজের জন্য যাঁদের বিশেষ অবদান থাকবে ওই বিষয়গুলোয়, তাঁরা এই চেয়ার অলঙ্কৃত করবেন। গবেষণার জন্য পাবেন এক কোটি টাকাও। নারী দিবসের মুহূর্তে, দেশের বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে মেয়েদের অবদানকে স্মরণে রাখতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন তাঁরা। শুধু ঘরকন্নার কাজই নয়, প্রকৃত অর্থেই দশভূজা মেয়েরা। তাঁদের বিজ্ঞান সাধনার এই উদ্যোগ, মেধা ও পরিশ্রমকেই যে কুর্নিশ জানানো হল, তা বলাই যায়।