পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে বিশেষ রেল পরিষেবা, ঘোষণা কেন্দ্রের

লকডাউনের জেরে ভিনরাজ্যে আটকে আছেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে অনেকে পড়ুয়া, অনেকে পর্যটক। আবার অনেকে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন অন্য রাজ্যে। তবে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা এর থেকেও বহুগুণ। বহুদিন আটকে থাকার পর, তাঁদের বাড়ি ফেরার সুযোগ করে দিল কেন্দ্র সরকার। ব্যবস্থা করা হল বিশেষ ট্রেনের।

আরও পড়ুন
পরিযায়ী বলুন বা অতিথি – শ্রমিকদের কথা আমরাও কি কোনোদিন ভেবেছি?

শুক্রবার নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন ঘোষণা করা হয় বিশেষ রেল পরিষেবা চালু করার কথা। এই পরিষেবা প্রদান করা হবে দেশের সর্বত্র। তবে বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। টিকিট কাটার বিধিনিয়মও আলাদা করে উল্লেখ করা হয় এই নির্দেশিকায়। রেলস্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনের মধ্যে সতর্কতার জন্য উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা মজুত রাখার নির্দেশও দিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুন
৯৬ শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিকের জোটেনি রেশন, সমীক্ষায় উঠে এল করুণ ছবি

সম্প্রতি অভিবাসী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানোর জন্য বাসের বন্দোবস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিবরা দাবি করেছিলেন ট্রেন পরিষেবা চালু করার জন্য। সেই কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল কেন্দ্র। কিন্তু সামাজিক দূরত্বকে বজায় রেখে বাস্তবায়িত করতে হবে ট্রেন পরিষেবা। তাই রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলার আবেদন জানানো হয়েছে। রেলকে আদেশ দেওয়া হয়েছে নোডাল অফিসার নিয়োগ করার জন্য।

আরও পড়ুন
পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে প্রকাশিত পত্রিকা, একদিনেই জোগাড় লক্ষাধিক টাকা

ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এই পরিষেবা। দুটি বিশেষ ট্রেন চালানো হয় শুক্রবার সন্ধেবেলা। একটি তেলেঙ্গানার লিঙ্গমপল্লী থেকে যাত্রা করে ঝাড়খণ্ডের হাতিয়ার উদ্দেশ্যে। অন্যটি কেরালা থেকে রওয়ানা দেয় ভুবনেশ্বরের দিকে। তবে দূরত্বের কথা মাথায় রেখেই পুরোপুরি যাত্রী পূর্ণ করা হয়নি ট্রেনগুলিকে। এক একটি কোচে ৭২-এর জায়গায় ৫৪ জনকে অনুমতি দেওয়া হয়। দুটি ট্রেনে গড়ে অন্তত ১০০০ জন করে মানুষ ফিরতে পারছেন বাড়িতে। এমনটাই জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকেরা।

তবে সমস্ত যাত্রীদের ট্রেনে তোলার আগে পরীক্ষা করা হয়। জীবাণুমুক্ত করা হয় ট্রেনগুলিও। এই পরিষেবায় উপকৃত হবে কয়েক লক্ষ মানুষ। বিশেষ এই রেল পরিষেবায় কষ্টের অবসান হবে তাঁদের; এমনটাই আশা পরিযায়ী শ্রমিকদের।