ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রতি আসক্তি বাড়াচ্ছে অনলাইন ক্লাস, শিশুমনে কুপ্রভাবের আশঙ্কা

করোনার জেরে বন্ধ বিদ্যালয়। নিও-নর্মাল পরিস্থিতিতে শিক্ষাব্যবস্থা সরে এসেছে অনলাইন ক্লাসের দিকে। স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারই পড়াশোনার মাধ্যম হয়ে উঠেছে ক্লাসরুমের বদলে। কিন্তু খুদেরা সারাদিন স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপের মতো গ্যাজেট হাতে পেয়ে, আসক্ত হয়ে পড়ছে তার প্রতি। যা ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলছে তাদের স্বাস্থ্য এবং মননে। সম্প্রতি এমন চিত্রই ফুটে উঠছে গবেষণা থেকে।

অতিরিক্ত স্মার্টফোনের ব্যবহার যে খারাপ, তা নিয়ে নতুন করে বলার নেই কিছুই। লকডাউন এবং ভাইরাস সংক্রমণের বহু আগে থেকেই তা বহুল চর্চিত। কিন্তু লকডাউন পড়ুয়াদের সুযোগ করে দিয়েছে মাত্রাতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের। অনেক ক্ষেত্রেই কিং জর্জস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির এক মনোবিদ জানান, অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থার জেরে সারাক্ষণই স্মার্টফোন হাতে থাকছে ছোটোদের। ফলে ক্লাসের সময়টুকু বাদ দিলে বাকি সময়ও তারা অতিবাহিত করছে গেম খেলে কিংবা ভিডিও দেখে। পাশাপাশি ক্লাস চলাকালীন শিক্ষকেরও বোঝা সম্ভব হচ্ছে না কতটা মনযোগ দিচ্ছে তারা ক্লাসে।

দীর্ঘক্ষণ ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহারের ফলে খিদে কমে যাওয়া, মেজাজ হারানোর মত লক্ষণ দেখা দিচ্ছে ছোটোদের মধ্যে। এছাড়া চোখের সমস্যা বা মাথা ধরার মতো ঘটনারও হদিশ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভারতেও এই ছবি একইরকম। দেশের অধিকাংশ মনোবিদই জানাচ্ছেন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে এই সমস্যা। অনেকেই এই ধরণের সমস্যা নিয়ে দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁদের কাছে। ক্ষেত্রবিশেষে অভিভাবকদের কথাও শুনছে না খুদেরা। তাঁরাও বাড়িতে থেকে অফিসের কাজ করায় নজর রাখতে পারছেন না সন্তানদের প্রতি। মহামারীর আবহে ভার্চুয়াল দুনিয়ার প্রতি মানুষের ঝোঁক একদিক থেকে বিপদের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে। পাশাপাশি এই সময় অধিকাংশ চিকিৎসাক্ষেত্রই বন্ধ থাকায়, দীর্ঘমেয়াদী ছাপ ফেলতে চলেছে এই ঘটনা। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা...

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
অনলাইন ক্লাসের জন্য ৮০০ পড়ুয়াকে স্মার্টফোন দেবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়