ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদজ্ঞাপন, আলোয় সেজে উঠল হাডসন সেতু

প্রতি বছরের মতোই এবছরও ২ মে দিনটিতে সেজে উঠেছে আমেরিকার অনেক পার্ক। এই দিনটিকে 'আই লাভ মাই পার্ক' ডে হিসাবে উদযাপন করেন সেদেশের মানুষ। তবে এই মহামারী পরিস্থিতির মধ্যে এমন আলোর উৎসবের অন্য তাৎপর্য আছে। অন্তত তেমনটাই বার্তা দিতে চেয়েছেন উদ্যোক্তারা। এই অন্ধকার সময়ে লড়াইয়ের জন্য তো রঙিন স্বপ্নটুকুরই দরকার। আর সেইসঙ্গে এই আলোই হয়ে উঠতে পারে কৃতজ্ঞতার প্রকাশ। তেমনই উজ্জ্বল আলো জ্বলে উঠল হাডসন উপত্যকার উড়ালপুলের উপর।

বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের ভয়ে প্রত্যেকেই তটস্থ। তার মধ্যেই প্রাণ সংশয় উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছেন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষরা। তাঁদের কেউ ডাক্তার, কেউ স্বাস্থ্যকর্মী আবার কেউ পুলিশ। ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা এইসব সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই নানারকম উদ্যোগ নিচ্ছেন। তেমনই একটি উদ্যোগ নিয়েছেন হাডসন উপত্যকার নাগরিকরা।

নিউ ইয়র্কের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন স্থানগুলির একটি মিড-হাডসন সেতু। ৩০০০ মিটার দীর্ঘ এবং প্রায় ২০০ ফুট উঁচু এই সেতু দেখতে আসেন অনেক পর্যটক। এখন অবশ্য লকডাউনের জন্য পর্যটকদের দেখা নেই। কিন্তু মহামারীর মধ্যে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং পুলিশকর্মীদের শ্রদ্ধা জানাতে এই সেতুকেই বেছে নিয়েছেন নাগরিকরা। আর সেই আলোকোজ্জ্বল ছবি ইতিমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নিউ ইয়র্কের সমস্ত হাসপাতাল ও পুলিশ স্টেশনে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ একটি করে ছবি পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। ভাইরাসের বিরুদ্ধে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করার ক্ষমতা হয়তো সকলের নেই। কিন্তু নিজেদের প্রাণ বিপন্ন করে যাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, এটুকু অভিনন্দন তো তাঁদের প্রাপ্যই!