পরজীবী শৈবালের তালিকায় যুক্ত হল একটি নতুন নাম। এই শৈবালটি লেবাউলবেনিয়ালিস গোত্রের একটি জীব। আর তার প্রজাতির নাম, ট্যুইটারি। ট্যুইটার নামের সামাজিক মাধ্যমের নামের সঙ্গে মিল পাচ্ছেন নিশ্চই! হ্যাঁ, এই মিলের কথা মাথায় রেখেই নাম রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। কেন? কারণ ট্যুইটারেই আবিষ্কার হয়েছে এই শৈবালটি। শুনে আশ্চর্য হচ্ছেন নিশ্চই। তাহলে একটা ঘটনা শুনুন।
লকডাউনের মধ্যে গবেষণার কাজ অনেকটাই বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে ট্যুইটার খুলে ছবি দেখছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ কোপেনহেগেনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের প্রফেসর সোফিয়া রেবোলেরিয়া। হঠাৎ তাঁর চোখ পড়ল একটি মিলিপেড প্রাণীর ছবির উপর। আমেরিকায় এমন মিলিপেড প্রাণী দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায়। দুবছর আগে এই ছবিটি তুলেছিলেন ডেরেক হেনেন নামে একজন ফটোগ্রাফার। তবে রেবোলেরিয়ার চোখ পড়ল ছবির বিশেষ কতগুলি জায়গায়। মিলিপেড প্রাণীটির শরীরের উপর তিনি দেখতে পেলেন কয়েকটি অস্বাভাবিক বিন্দু। আর তারপরেই এক সহকারীকে সঙ্গে নিয়ে খুঁজতে শুরু করলেন মিউজিয়ামের স্পেসিমেন।
দেখা গেল, অনেকগুলি মিলিপেড প্রাণীর শরীরেই এই শৈবালটি রয়েছে। অথচ এতদিন লক্ষ করেননি কেউই। তবে নমুনা খুঁজে পাওয়ার পরেই তার উপর গবেষণা চালাতে শুরু করলেন রেবোলেরিয়া। দেখা গেল এগুলি উনিশ শতকে আবিষ্কার হওয়া লেবাউলবেনিয়ালিস গোত্রের শৈবাল। তবে প্রজাতিটি সম্পূর্ণ নতুন। এই বিশেষ পরজীবী শৈবালটি নিজে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে না। তাই বিভিন্ন প্রজাতির মিলিপেড প্রাণীর শরীরে বাসা বেঁধে থাকে এরা। ট্যাক্সোনমিক তালিকায় এভাবেই যুক্ত হল একটি নতুন নাম। আর ট্যুইটারে পাওয়া ছবির সূত্রেই তো ঘটল সমস্ত আবিষ্কারটি। তাই এর নাম রাখা হল এই সামাজিক মাধ্যমটির নামেই।