চাঁদের মাটিতে প্রথম বেস ক্যাম্প, মহামারীর মধ্যেই তৈরি হল নক্সা

পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় আগে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে অ্যাপোলো। এবার পালা আর্টেমিসের। আর্টেমিস আসলে নাসার চন্দ্রাভিযান মিশনের নাম। সমস্তকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৪ সালেই চাঁদের মাটিতে পা রাখত আর্টেমিস। ১৯৬৯ সালে প্রথমবার চাঁদে পৌঁছেছিল অ্যাপোলো। আর তার ঠিক ৫৫ বছর পর আর্টেমিস। করোনা ভাইরাসের দাপটে সময় কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে। কিন্তু তার জন্য কাজ বন্ধ করে বসে নেই নাসা। সম্প্রতি মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটির তরফ থেকে এই অভিযানের খুঁটিনাটি নক্সা প্রকাশ করা হল।

৫৫ বছর পর আবার চাঁদে মানুষ যাওয়ার প্রস্তুতিকে ঘিরে উন্মাদনা তো আছেই। সেইসঙ্গে এই প্রথম চাঁদে মানুষের বসবাসের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ গোলার্ধে তৈরি হবে বেস ক্যাম্প। সেখানে চারজন মহাকাশচারী ৭ দিন থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন। সেইসঙ্গে আশেপাশের এলাকা জরিপও করবেন তাঁরা। এই কাজের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বিশেষ একধরনের গাড়ি। তার নাম লুনার টেরেইন ভেইকল বা এলটিভি।

ইতিমধ্যেই পৃথিবীর মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ, বর্জ্য পদার্থ নির্গমন প্রভৃতি বিষয়ের খুঁটিনাটি নক্সা তৈরি করে ফেলেছে নাসা। এমনকি মহাকাশচারীদের মূত্রকেও বিশেষ উপায়ে ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে নাসা যে রীতিমতো প্রস্তুত, একথা বলাই বাহুল্য।

বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মাঝে এমন খবর বেশ অন্যরকম। বোঝা যায়, মহামারীর তাণ্ডব এখনও সম্পূর্ণ হতাশ করেনি মানুষকে। একদিন এইসব থেমে যাবে। মানুষ আবার সেদিন মহাকাশের কথা ভেবে রোমাঞ্চিত হবে। ভিতরে ভিতরে চলছে তারই প্রস্তুতি। আর তো মাত্র কয়েক বছরের অপেক্ষা। আর চাঁদের পরেই মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে নাসা। মহাকাশে মানুষের এমন অবাধ বিচরণ, আজও মানুষকে রোমাঞ্চিত করে।