একই সিনেমার তিনটে ভাষায় মুক্তি, একাধিক ট্রেন্ড তৈরি করেছিল ‘মুঘল-ই-আজম’

আমাদের জীবন নানা নস্টালজিয়া নিয়ে বেড়ে ওঠে। এক সময়ের সুখস্মৃতি ভিড় করে আসে মাঝে মাঝে। আহা, সেসব কিছু দিন ছিল! এক এক প্রজন্মের কাছে এই নস্টালজিয়ার উপকরণ বদলে যায়। তবে যাই হোক, সিনেমাকে কেউই এড়িয়ে যেতে পারেনি। ব্যক্তিবিশেষে পছন্দের ধরণ আলাদা হলেও, তার কাছে বারবার ফিরে যেতে হয়। আর বলিউডের কথা ধরলে, বেশ কয়েক প্রজন্মের কাছে অন্যতম প্রধান হয়ে আসবে পরিচালক কে আসিফের একটি সিনেমা। কথায় বলে না, নামই যথেষ্ট! এই সিনেমার ক্ষেত্রে সেটাই খাটে। এতক্ষণে অনেকে ধরেও ফেলেছেন কার কথা হচ্ছে। হ্যাঁ, সেই এভারগ্রিন ‘মুঘল-ই-আজম’।

আরও পড়ুন
হারিয়ে যাওয়া রিল পুনরুদ্ধার, ৬৩ বছর পর ‘মুক্তি’ পাবে কিশোর কুমারের সিনেমা

আজকে নানা সময় বলিউডের সিনেমা একাধিক ভাষায় মুক্তি পায়। এই ট্রেন্ড শুরুই হয়েছিল ‘মুঘল-ই-আজম’ দিয়ে। মোট তিনটি ভাষায় মুক্তি পায় এই সিনেমাটি— হিন্দি, তামিল আর ইংরাজি। ১৯৬০-এ মুক্তিপ্রাপ্ত এই সাদা-কালো সিনেমা মূলত পিরিয়ড ড্রামা। যেমন সেট, পোশাক, আমেজ; তেমনই অভিনয় আর গান। কে ভুলবে লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে সেই অমর গান ‘জব প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া’। সঙ্গে মধুবালার সেই ঝকঝকে নাচ। পুরো সিনেমাটাই যেন চুম্বকের মতো টানত দর্শকদের। সেই সময় দাঁড়িয়ে এই সিনেমার বাজেট ছিল প্রায় ১.৫ কোটি টাকা! কিন্তু শেষপর্যন্ত সবটাই সার্থক হয়েছিল।

আরও পড়ুন
অভিনয় করেছেন রবীন্দ্রনাথ, দর্শকাসনে নেতাজিও – থামল কলকাতার রক্সি সিনেমা হলের যাত্রা

মধুবালা, দিলীপ কুমার, পৃথ্বীরাজ কাপুর অভিনীত এই সিনেমার টান জারি আছে আজও। তাই তো সাদা-কালো সিনেমার মধ্যে ‘মুঘল-ই-আজম’কেই সর্বপ্রথম রঙিন করা হল। তারপর ২০০৯ সালে সেই কালারড সিনেমাটি আবারও মুক্তি পেল সিনেমাহলে। যেকোনো ভাষার ছবিতে এমন ঘটনা এই প্রথম। তিনটে ভাষায় ছবিটি তৈরি করা হলেও, ইংরাজিতে মুক্তি পায়নি সিনেমাটি। সেই প্রিন্টও আর পাওয়া যায় না। কিন্তু সেই ইতিহাস তো রয়ে গেছে। একসঙ্গে অনেকগুলো ট্রেন্ড শুরু করে দিয়েছিল এই একটা ছবি। সেই সঙ্গে জুড়ে আছে একটা বিরাট অংশের নস্টালজিয়া। ‘মুঘল-ই-আজম’ সত্যিকারেরই একটি মাইলস্টোন।