মালিক কোয়ারেন্টাইনে, দোকান থেকে স্ন্যাকস এনে দিল পোষ্য কুকুর

যুদ্ধ চলছে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে। সেনানী আমরা প্রত্যেকেই। সারাদিন ঘরের মধ্যে বন্দি হয়ে থাকা কি সহজ ব্যাপার! অবশ্য উপায় কী! এর মধ্যেই যদি কারোর স্ন্যাক্সের বাতিক থাকে? এমন তো অনেকেই আছেন, সবসময় মুখ না চালালে ঠিক চলে না। কিন্তু কী করবেন? ঘরের বাইরে যে বেরোনো যাবে না। কোয়ারান্টাইনের সময় এটুকু মুখ বুজে সহ্য করে যেতেই হবে। আর নাহলে একটু বুদ্ধি লাগান। দেখুন অন্য কোনো উপায় খুঁজে পান কিনা!

আরও পড়ুন
কমছে দূষণ, বাড়ছে পাখি-প্রজাপতির সংখ্যা; স্তব্ধ কলকাতায় অন্যরকম প্রাণসঞ্চার

আচ্ছা আপনার বাড়িতে কি পোষা কুকুর আছে? তাকে তো পাঠাতে পারেন দোকানে। না, একদমই মজা করছি না। বিশ্বাস করুন, এই অপশনটাই বেছে নিয়েছেন মেক্সিকোর এক ভদ্রলোক। তাঁর একটু চিটোজ খেতে ইচ্ছে করেছিল। অরেঞ্জ চিটোজ। কিন্তু তিনি যে আইসোলেশনে আছেন! দোকানে তো যেতে পারবেন না। অবশেষে পথ খুঁজে পেলেন অ্যান্টোনিও। ঘরে তো সর্বক্ষণের সঙ্গী চিহুয়াহুয়া ছিলই। মানে অ্যান্টোনিওর পোষা কুকুরের কথা বলছি। তাকেই পাঠিয়ে দিলেন দোকানে। আর তার কলারবেল্টে বেঁধে দিলেন ২০ ডলারের নোট, এবং একটা চিরকুট। আর কুকুরটি সেই নোট এবং চিরকুট নিয়ে সোজা হাজির দোকানে।

আরও পড়ুন
মারা গেছেন বন্ধু, তবু আশা ছাড়েনি কুকুরটি; টানা নয় বছর অপেক্ষা করেছিল স্টেশনে

চিহুয়াহুয়া যে সত্যিই কাজটা করতে পারবে এমনটা হয়তো অ্যান্টোনিও নিজেও আশা করেননি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মালিকের জন্য চিটোজ নিয়ে হাজির। পরে ফেসবুকে সেই পোষ্যটির ছবিও পোস্ট করেন অ্যান্টোনিও। আসলে কোয়ারান্টাইনের একাকিত্বই যেন মানুষকে আরও বেশি ক্রিয়েটিভ করে তুলছে। কেউ কেউ নিজেদের শৈল্পিক গুণের বিকাশ ঘটাচ্ছেন। আর যাঁরা সেসবের দিকে যান না, তাঁরা প্রত্যহিক জীবনকেই এভাবে সহজ করে নিচ্ছেন। মানুষ যে শুধুই অভ্যাসের দাস নয়, নানা উদ্ভাবনী বুদ্ধিও যে তার মাথায় খেলা করে, করোনার উৎপাত না হলে তার অনেকটা হয়তো অজানাই থেকে যেত।