চারবার তলিয়েছে মন্দির, তবুও থামেনি মালদার ‘ভ্রাম্যমাণ দুর্গাপুজো’

নদীর ভাঙন থেকে মুক্তি পাননি খোদ ভগবানও। প্রবল বন্যায় বারংবার বিপর্যস্ত হয়েছে মালদা। নদীর জল ফুলে উঠেছে, ভেঙেছে বহু ঘর-বাড়ি, ভেসে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। উদ্ধার করা যায়নি মন্দিরকেও, কিন্তু থেমে থাকেনি দুর্গাপুজো।

গঙ্গার ভাঙনে এই নিয়ে চারবার তলিয়েছে একটি মন্দির তবুও সেই মন্দিরের পুজো চলছে প্রতিবছর। ভাঙনের ফলে মন্দিরের স্থান বদল হয়েছে কিন্তু মায়ের পুজোয় গাফিলতি হয়নি।

১৫০ বছরের প্রাচীন এই পুজো শুরু হয়েছিল ডাল্লুটোলা গ্রামে। কয়েকবছর পুজো হওয়ার পর সেখানে ভাঙন শুরু হলে পুজো উঠে আসে বেচুটোলা গ্রামে, সেখান থেকে হাড্ডাটোলায় এবং অবশেষে জোতপাট্টা গ্রামে এসে পৌঁছেছেন মা। মালদার মানিকচকের এই পুজো ‘ভ্রাম্যমাণ দুর্গাপুজো’ নামেই বিখ্যাত। প্রতিবছর যা হোক ব্যবস্থা হয়ে গেলেও এবার পুজোকমিটির উদ্যোক্তারা বেশ বিপদে পড়েছেন। একদিকে খারাপ আবহাওয়া এবং আরেকদিকে বন্যা। এতদিন জোতপাট্টায় অস্থায়ী ভাবে এর-ওর বাগানে পুজো হত। তবে বর্তমানে মন্দিরের জন্য স্থানীয় এক ব্যক্তি স্থান দিলে মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়। অথচ এবারের বন্যায় ভেসে গেছে গ্রাম, চারিদিকে এত জল, কী করে পুজোর চারদিন কাটবে সেই নিয়েো দুশ্চিন্তায় পুজো কমিটির কর্মকর্তারা।

এবছরের প্রতিমা শিল্পী নিখিল মালাকার। প্রতিবছর মেলা বসে দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে। চারিদিকে জল। মেলা তো দূর অস্ত। তাই স্বয়ং দেবীই ভরসা, তাঁর পুজোকে এবারের মতো উদ্ধার করে দিতে।