৪০ জন গরিব পড়ুয়াকে আলো দেখাচ্ছে কাদামাটির এই স্কুল

মনে আছে, শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ছাত্রদের পড়াতেন ছাতিমগাছের নিচে বসে? কবিগুরুর যুক্তি ছিল, পরিবেশের সংস্পর্শে থাকলে মন যেমন উদার হয়, তেমন সহজে আত্মস্থও হয় পাঠ। ঠিক তেমন না হলেও, প্রায় কাছাকাছি ভাবনা নিয়েই গড়ে উঠেছে বেঙ্গালুরুর এনজিও বিল্ডিং ব্লকসের স্কুল ‘মর্নিং গ্লোরি’। কর্নাটকের সিদ্দাপুরা রাজ্যের ৪০টি শিশুকে কোনো বেতন না নিয়েই পড়াচ্ছে এই স্কুল। বৈশিষ্ট্য এই যে, স্কুলটি পুরোপুরি কাদামাটি দিয়ে তৈরি।  ভীষণ গরমে তাপের প্রকোপ থেকে বাঁচিয়ে ভেতরের ঠান্ডা হাওয়া এবং শীতকালে মাটির গরম আঁচ, সব মিলিয়ে আদর্শ উদহারণ এই স্কুল।

বিল্ডিং ব্লকসের ১০টি সেন্টারে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৮৪০। মোটামুটি ৩-৬ বছরের বাচ্চাদের প্রাথমিক শিক্ষা দিতে সাহায্য করে এই এনজিও-টি। বিল্ডিং ব্লকসের প্রতিষ্ঠাতা জেমস আম্বাট-এর কথায়, টাকার অভাবে গরিব ঘরের ছেলেমেয়েদের সরাসরি গভর্মেন্ট স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে তুলে দেওয়া হয়, কোনো প্রাথমিক শিক্ষা ছাড়াই। মর্নিং গ্লোরি এই প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার দিকেই আগ্রহী।

ইংরেজি মাধ্যমের এই স্কুলটি বই, পড়ার সামগ্রী এবং দু-বেলার খাবার বিনামূল্যে দেয়। কাদামাটি, ইউক্যালিপটাস গাছের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি এই স্কুল শিশুদের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করতে সাহায্য করে। অভিনব এই স্কুলটির জন্য টাকা বিনিয়োগ করেছে ইভলভ ব্যাক রিসোর্ট। শিশুদের উপযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য এমন পরিবেশবান্ধব স্কুল যে আদর্শ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।