২০১৯ সালে ২০,০০০ জনের আত্মহত্যা জাপানে, চার দশকে সর্বনিম্ন এটাই

অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিপুল সাফল্য অর্জন করলেও, নাগরিকদের মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ব্যর্থ জাপান সরকার। তার প্রমাণ আমরা পাই আত্মহত্যার ঘটনায়। গত চার দশক ধরে জাপান সরকার আত্মহত্যার সংখ্যা নথিভুক্ত করছে। আর সেই সংখ্যা আঁতকে ওঠার মতোই। সাতটি পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের মধ্যে শতকরা হিসাবে জাপানে আত্মহত্যার ঘটনা সর্বাধিক। ২০১৯ সালেই জাপানে আত্মহত্যা করেছেন ১৯,৯৫৯ জন। সরকারি হিসাবে প্রতি দশলাখে ১৫৮ জন মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তবে গত চল্লিশ বছরের পরিসংখ্যানে এটাই সর্বনিম্ন।

গত ১৭ জানুয়ারি জাপান পুলিশ কর্তৃক প্রকাশিত নথিতে জানানো হয়, ২০১৯ সালে জাপানে মোট ১৯,৯৫৯ জন আত্মহত্যা করেছেন। যার মধ্যে ১৩,৯৩৭ জন পুরুষ ও ৬,০২২ জন মহিলা। সেইসঙ্গে এটাও জানানো হয় যে গত চল্লিশ বছরে এটাই সর্বনিম্ন। সর্বাধিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল ২০০৩ সালে। সেবছর ৩৪,৪২৭টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। বিগত দেড় দশকে আত্মহত্যার প্রবণতা প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা গেছে। বিগত দশ বছরে আত্মহত্যার প্রবণতা নিম্নমুখী বলেই জানানো হয়েছে রিপোর্টে।

সরকারিভাবে যদিও আত্মহত্যার প্রবণতা কমার কোনো কারণ দেখানো হয়নি। তবে দেশের অর্থনীতি ক্রমশ উন্নত হওয়াতেই অবসাদ ও হতাশার পরিমাণ কমছে বলে ধারণা অনেকের। এছাড়া ২০০৭ সাল থেকে কাজ করে আসছে একটি আত্মহত্যা প্রতিরোধক প্রকল্প। জাপান সরকারের নির্দেশে কর্মচারীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়েও নানা কর্মসূচি নিয়েছে শিল্প-সংস্থাগুলি। এই সবকিছু মিলিয়েই জাপানে আত্মহত্যার ঘটনা কমেছে।