মারা গেছে নিজের পোষ্যটি, অন্যদের ‘ভালো’ রাখতে বিরল উদ্যোগ তরুণীর

ভারতের গড় স্বাস্থ্যব্যবস্থার অবনতি অনেকের নজরেই এসেছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর গঠনগত ত্রুটির ফলে আজও আমাদের দেশ উন্নয়নশীল তকমা ঝেড়ে ফেলতে অক্ষম। কিন্তু এ এক অন্য কাহিনি। মুম্বাইয়ের দেবাংশী শাহ, ২০১৭ সালে সম্মুখীন হন এক সমস্যার। তাঁর পোষ্য কুকুর হ্যাজেল আক্রান্ত হয় একটি দুরারোগ্য অসুখে।

একমাস ধরে টানা অসুস্থতার পর, অবশেষে হ্যাজেলকে অস্ত্রপ্রচারের জন্য ভর্তি করা হয়েছিল। পরিস্থিতি অবনতির দিকে এগোয় ক্রমশ। প্রয়োজন হয় রক্তের। কিন্তু দেবাংশী ও ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা করেও কোনো উপযুক্ত রক্তদাতা পাননি। সেই রাতেই মারা যায় হ্যাজেল।

হ্যাজেলের এভাবে চলে যাওয়া মানতে পারেননি দেবাংশী। এই অব্যবস্থার শিকার যাতে আর কেউ না হয়, সে-কথা মাথায় রেখে, তিনি খোলেন ‘পেটকানেক্ট’ নামের একটি সংস্থা। এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য হল, কেউ যদি নিজের পোষ্যের সম্পর্কে কোনো সাহায্য চায়, তাকে যাতে খালি হাতে ফিরতে না হয়। ওয়েবসাইট ও অ্যাপ হয়ে ওঠে পেটকানেক্টের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম।

নিজেদের পোষ্যদের নিজস্ব প্রোফাইল তৈরি করে, তার বন্ধু অনুসন্ধান করতেও সাহায্য করবে পেটকানেক্ট। পুরো ব্যবস্থাটাই একটটা বিরাট সোশ্যাল মিডিয়ার আওতায় মানুষকে যুক্ত করার প্রক্রিয়া বলা যেতে পারে। কখনো জরুরি অবস্থায় এনজিও, অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা করা কিংবা পোষ্যের আপৎকালীন রক্তের প্রয়োজনে রক্ত জোগাড় – সবেতেই সাহায্য করবে এই কমিউনিটি। এছাড়া থাকছে অন্যান্য সুবিধাও।

দেবাংশীর এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আর কেউ যাতে প্রিয় পোষ্য হারানোর কষ্ট না পায়, সে-জন্য তার এই ভূমিকা খানিক আশার আলো দেখায়। হ্যাঁ, তরুণ প্রজন্ম স্বপ্ন সফল করতে ভুলে যায়নি...

ছবি ঋণ - blogs.biomedcentral.com