ছেঁড়া রেনকোট-হেলমেট পরেই করোনার সঙ্গে লড়াই চিকিৎসকদের

করোনার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বদলে যাচ্ছে পরিসংখ্যান। যদিও আক্রান্তের আসল সংখ্যা আরও বেশি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞের একাংশ। এই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন কয়েকজন চিকিৎসক। এখন আলোচনার বিষয়, যাঁরা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়ছেন এই যুদ্ধ, তাঁদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে কতটা ওয়াকিবহাল সরকার? তা খুঁজতে গিয়েই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

আরও পড়ুন
হাসপাতালে স্থানাভাব, মেঝেতে শুয়ে করোনা-আক্রান্তরা – ভয়াবহ দৃশ্য স্পেনে

না, পর্যাপ্ত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। সুরক্ষা পোশাকের অভাবে কোথাও ডাক্তারদের দেখা যাচ্ছে রেনকোট, বাইকের হেলমেট ব্যবহার করতে। কোথাও জোড়া তাপ্পি মারা বাতিল প্লাস্টিক। এমনকি কোনো কোনো হাসপাতালে নেই মেডিক্যাল এবং সার্জিক্যাল মাস্কও।

আরও পড়ুন
রক্ত নেই ব্লাড ব্যাঙ্কে, নিজেই রক্ত দিয়ে বৃদ্ধাকে বাঁচালেন বৌবাজার থানার অতিরিক্ত ওসি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, জরুরি অবস্থায় চিকিৎসার সমস্ত সরঞ্জাম আনা হবে চিন এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। কিন্তু এখন আমদানি বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে দেশে তৈরি সরঞ্জাম চাহিদা মেটাতে পারছে না। অনেক চিকিৎসকই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে উপযুক্ত সরঞ্জাম না থাকলে তাঁরাই রোগের বাহক হয়ে দাঁড়াতে পারেন। তাঁদের থেকেই সংক্রমণ হতে পরে আরও অনেকের।

আরও পড়ুন
করোনা রুখতে কাজে ফিরলেন কয়েক হাজার অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার ও নার্স

উত্তরপ্রদেশে সরকারি হাসপাতালগুলির জন্য বরাদ্দ আছে ৪,৭০০টি অ্যাম্বুলেন্স। মঙ্গলবার এই চালকরাও ডাক দেন ধর্মঘটের। দাবি সেই একই, অভাব রয়েছে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের। অ্যাম্বুলেন্স ওয়ার্কারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হনুমান পাণ্ডে জানান, উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে, নিজেরদের জীবন বিপন্ন করে তাঁদের পক্ষে ২৪ ঘণ্টার লড়াইয়ে সামিল হওয়া সম্ভব না।

আরও পড়ুন
সেরে উঠেছেন লক্ষাধিক মানুষ, করোনা-আক্রমণের বিপরীতে আশার আলো

দিল্লীতে কর্মরত এক চিকিৎসক জানান, সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীই ভয় পাচ্ছেন। চাইছেন না কাজ করতে। অনেকটাই প্রার্থনার উপরেই ভরসা করে আছে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা। পাশাপাশি রাজ্যের ছবিও অনেকটাই একই রকম। বেলেঘাটা আইডিতে জুনিয়ার ডাক্তারদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে সম্প্রতি।

আরও পড়ুন
৯০ বছর আগেই খোঁজ মিলেছিল করোনার, প্রথম আক্রমণ ১৯৬৫ সালে

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এমনটা হওয়ার কারণ জিডিপির মাত্র ১.৩% টাকা খরচ করা হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে। অন্যান্য দেশগুলোর থেকে যা অনেকই কম। এখন দেখার বিষয়, সরকার কত দ্রুত ব্যবস্থা করতে পারে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এইসব সামগ্রীর। অন্যথায়, নিজের বিপদ ডেকে আনা হবে নিজেই।