বয়স বছর বারো। আর পাঁচটা ছেলের মতো কোচিং ক্লাস, ভিডিও গেম টানে না ওকে। তামিলনাড়ুর লিডিয়ান নাধেশ্বরমের কচি আঙুলগুলো বিদ্যুৎগতিতে খেলে বেড়াচ্ছে পিয়ানোর সাদা কালো রিডে। বেজে উঠছে বেঠোফেনের 'মুনলাইট সোনাটা' কিংবা রিমস্কি-কোর্সাকোভের 'ফ্লাইট অফ দি বাম্বলবি'! এক মিনিটে ৩২৫ বিট বাজাতে পারে ছোট্ট ছেলেটা!
ভারতের বিস্ময়বালক ইতিমধ্যেই জিতে নিয়েছে আমেরিকায় একটি ট্যালেন্ট হান্ট শো। মিলিয়ন ডলার পুরস্কার!
মাত্র তেইশ মাস বয়সে লিডিয়ান বাজাতে শেখে ড্রাম। সঙ্গীত পরিচালক বাবা তার প্রতিভা লক্ষ্য করে ছেলেকে শিখিয়েছেন বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র। শুধুমাত্র পাশ্চাত্য নয়, লিডিয়ান পারদর্শী দেশীয় কার্নাটিক মার্গসংগীতেও।
পিয়ানোর প্রতি কৌতূহল জন্মায় দিদিকে বাজাতে দেখে। 'এরপর ইউটিউবে একজন চিনে পিয়ানিস্ট-এর ভিডিও দেখে যন্ত্রটার প্রেমে পড়ে যাই !' ন'বছর বয়সে স্রেফ শুনে শুনে তুলে ফেলেছিল সুর। কয়েকদিন বাদেই ট্রিনিটি কলেজের মিউজিক একাডেমি থেকে ডাক আসে। বাকিটা ইতিহাস।
খুদে প্রতিভার প্রশংসায় পঞ্চমুখ কিংবদন্তি এ আর রহমান। ট্যালেন্ট হান্ট জয়ের খবর শুনে টুইটারে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছিলেন। পৌঁছে গিয়েছিলেন বাড়ি।
তবে এত খ্যাতি ছোট্ট লিডিয়ানের মাথা ঘুরিয়ে দেয়নি। 'আমি এখন দিনে ছ'ঘণ্টা অনুশীলন করি। অবসর সময়ে গান শুনি ইউটিউবে। নয়তো বাবার মিউজিক সফটওয়্যার নিয়ে খেলতে ভাল্লাগে। সুর তৈরি করতে করতেই সময় কেটে যায়।' - জানিয়েছে সে।
ওর স্বপ্ন, হলিউডে সঙ্গীত পরিচালক হওয়ার। বিশ্বায়নের পরেও মোৎসার্টরা যে জন্মাচ্ছে, খুদে লিডিয়ান তার জীবন্ত উদাহরণ।
ছবি ঋণ -yourstory. com
মাত্র ১২ বছর বয়সে পিয়ানোয় বেঠোফেনের সুর তোলে এই ছেলেটি
