অর্থনীতি সচল রাখতে ছাড় গ্রামীণ শিল্পে, কলকারখানা আংশিক চালু এপ্রিলেই

করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতেই চলছে লকডাউন। প্রথমে ২১ দিনের জন্য লকডাউনের ঘোষণা হলেও, বাড়ানো হয়েছে এর মেয়াদ। স্বাস্থ্য বিভাগের লড়াই যে এতে অনেকটা সহজ হয়েছে, তা স্পষ্ট। কিন্তু অর্থনৈতিক অবস্থা? দেশের প্রায় সমস্ত কারখানাই বন্ধ। বন্ধ রয়েছে একাধিক অফিস। ফলে অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন দেশ। এই অচলাবস্থা কাটাতে, রাজ্য ইতিমধ্যেই আংশিকভাবে কিছু ছোট ব্যবসাকে সম্মতি দিয়েছিল। এবার সেই পথেই হাঁটল কেন্দ্র।

বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ২০ এপ্রিলের পরে গ্রামীণ এলাকায় ছাড় দেওয়া হবে ব্যবসা এবং শিল্পের ক্ষেত্রে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়ায়নি যে সকল অঞ্চলে, কেবলমাত্র সেখানেই মিলবে ছাড়। তবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক পরেই কাজ করতে হবে। জারি থাকবে কোভিড-১৯ এর অন্যান্য বিধিও। এছাড়াও যত্রতত্র, থুতু বা কফ ফেলা, যে দণ্ডনীয় অপরাধ স্পষ্ট জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

গ্রামীণ শিল্প ছাড়াও, পাশাপাশি ছাড়পত্র দেওয়া হল কৃষি, সড়ক নির্মাণ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং জল সংরক্ষণ ও সেচের কাজে। শহুরে অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির পাশাপাশি চলতে পারে নির্মাণের কাজ। যদি শ্রমিক নির্মাণের স্থানে উপস্থিত থাকে তবেই। চালু হবে গ্রামীণ অঞ্চলের ইঁট ভাটাও। খুলে যাবে আন্তঃরাজ্য পরিবহণ সংস্থাগুলিও। ফলে সচল হবে ট্রাক সারানোর গ্যারেজগুলিও। অত্যাবশ্যক পণ্যের পরিবহনে মিলবে বিশেষ ছাড়। চা, কফি, রাবার প্রকিয়াকরণ শিল্প চালু থাকবে। তবে গুটখা, তামাক এবং অ্যালকোহল জাতীয় মাদকদ্রব্যের ব্যবসা বন্ধ রাখার কঠোর নির্দেশ জারি হয়েছে।

ই-কমার্স এবং আই-টি ফার্মগুলিকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলেছে কেন্দ্র। ৫০ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি পাওয়া যাবে। তবে কর্মীদের জন্য অফিসের বিল্ডিংয়ে বা অফিস লাগোয়া এলাকায় থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। এর সঙ্গে চালু হচ্ছে বেশ কিছু কল সেন্টার, যেগুলি সরকারকে সাহায্য করতো নানান কাজে।

এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে দুগ্ধ উৎপাদন ও দুগ্ধজাত সামগ্রী, পোলট্রি এবং পশুপালনে মিলবে বিশেষ ছাড়। অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা এবং তথ্য প্রযুক্তিতেও থাকবে এই ছাড়। তবে সিনেমাহল বা শপিং কমপ্লেক্সগুলির মতো সমস্ত বিনোদন বন্ধ থাকবে ৩রা মে পর্যন্ত। বন্ধ রাখার নির্দেশ স্কুল কলেজগুলিকেও। আংশিকভাবে লকডাউন তুলে অর্থনীতি সচল রাখাই এখন প্রাথমিক লক্ষ্য। সঙ্গে জনগণের কষ্ট লাঘব করাও। আশা করা যায়, আংশিক ছাড় শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে।