সমুদ্রের ১১ বর্গফুট এলাকায় ১৯ লক্ষ প্লাস্টিক টুকরো! চাঞ্চল্য বিজ্ঞানীমহলে

মানুষের অনেক বর্জ্যেরই অন্তিম ঠিকানা সমুদ্র। তবে এই বিপুল বর্জ্যের ভারে সমুদ্রের অবস্থা ঠিক কেমন হতে চলেছে, সেকথা কি ভেবে দেখেছি আমরা? বিশেষ করে প্লাস্টিকের মতো পদার্থ সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্রের রীতিমতো ক্ষতি করছে। আর এর মধ্যেই বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সমুদ্রের বুকে বিপুল পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিকের সঞ্চয় দেখে তাজ্জব সকলেই। একসঙ্গে এত পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক এর আগে চোখে দেখেননি কেউ।

ভূমধ্যসাগরের বুকে অন্তঃস্রোত এবং সেখানকার বাস্ততন্ত্র নিয়ে গবেষণার জন্য সমুদ্রে নেমেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী। হঠাৎ তাঁদের নজরে আসে সমুদ্রের তলদেশে যেন একটি চাদরের মতো আস্তরণ রয়েছে। কাছে গেলে অবশ্য দেখা যায় চাদর নয়, সেখানে জমা হয়েছে অসংখ্য প্লাস্টিকের টুকরো। সব মিলিয়ে প্রায় ১৯ লক্ষ প্লাস্টিকের টুকরোর সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। আর প্রায় ১১ বর্গফুট অঞ্চলের মধ্যে এত বেশি প্লাস্টিকের অস্তিত্ব স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

সমুদ্রের গভীরে আলোর প্রায় অনুপস্থিতিতে বসবাস করে বহু জীব। তাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং পুষ্টিদ্রব্য সরবরাহ করে সমুদ্রের অন্তঃস্রোত। অথচ সেই স্রোতের টানে তার সঙ্গেই ভেসে আসে প্লাস্টিক! প্রায় অবিশ্বাস্য এই কথাটাই বিশ্বাস করতে বাধ্য হচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। আর তার ফলেই তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা। সমুদ্রে জলে প্লাস্টিকের টুকরো থাকার অর্থ হল খাদ্যের সঙ্গে সামুদ্রিক জীবের শরীরে মিশছে প্লাস্টিক। আর এর ফলে যে তাদের শরীরের যথেষ্ট ক্ষতির সম্ভবনা থেকে যাচ্ছে, সেকথা বলাই বাহুল্য। তবে এই গবেষণার ফলে সমুদ্রের তলদেশে প্লাস্টিকের পরিবহনের চরিত্র জানা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আর তার ফলে সেইসব বর্জ্য অপসারণের যথেষ্ট সুবিধা হবে বলেই আশাবাদী তাঁরা।