২০৩০ সালে পানীয় জলটুকুও পাবেন না ৪০ শতাংশ ভারতীয়

ইতিহাসের সবচাইতে বড় জলসঙ্কটের মধ্যে এখন দাঁড়িয়ে ভারত। এনআইটিআই আয়োগ-এর নতুন রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০২০ সালের মধ্যে ১০ কোটি ভারতবাসী ভূগর্ভস্থ জলের অভাবে তীব্র জলসঙ্কটে ভুগবেন। দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদের মতো ২১টি শহরের ভূগর্ভস্থ জলও ফুরিয়ে যেতে পারে আর এক বছরের মধ্যেই। ইতিমধ্যেই অবশ্য তীব্র জলসংকট দেখা দিয়েছে চেন্নাই-সহ তামিলনাড়ুর বিস্তৃত অংশে। তবে, এই রিপোর্টের সবচেয়ে ভয়াবহ তথ্যটি হল, অবস্থার উন্নতি না হলে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতবর্ষের ৪০ শতাংশ মানুষ পানীয় জলটুকুও পাবেন না।

‘কম্পোসিট ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ইনডেক্স’-এর একটি রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতিদিন গড়ে ২ লক্ষ মানুষ মারা যান দূষিত জল পান করে। এই পরিসংখ্যান এমনিতেই ভয়াবহ। সেই ভয়াবহতাই আরো বাড়বে জলসঙ্কট তীব্র হলে। সীমাহীন নগরায়ন, বড় বড় শিল্পস্থাপনের প্রয়োজনে ভূগর্ভস্থ জল তুলে ফেলা, সচেতনতা না থাকার জন্য জল নষ্ট এবং জলবায়ুর পরিবর্তন—এইসবের মিলিত যোগফল এই ভয়াবহ সঙ্কট। এর হাত থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করতে হবে দ্রুতই। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্তরে জল সংরক্ষণ করে কিংবা জল অপচয় বন্ধ করলেই হবে না, ভাবতে হবে নগরায়ন, শিল্পায়নের ভিন্ন পন্থাও। নাহলে ভবিষ্যৎ খুব সুখের নয়।