ক্রমশ কমছে কন্যাসন্তান জন্মের হার

মাত্র একমাস আগের ঘটনা। ভারতের উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার একটি পরিসংখ্যান সমস্ত খবরে জায়গা করে নেয়। সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তিন মাসে উত্তরকাশীর ১৩২টি গ্রামে কোনো কন্যাসন্তান জন্ম নেয়নি! 

এই সমীক্ষা কোনো বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়। এই ২০১৯-এ দাঁড়িয়েও কন্যাভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনার কথা খবরের শিরোনামে আসে। জন্মের পরও কন্যাসন্তান স্রেফ অবহেলার কারণে, অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে, বিহারে জন্মের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেলেও, লিঙ্গ অনুপাতের ক্ষেত্রে অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। শুধু বিহার, উত্তরাখণ্ড বা উত্তরপ্রদেশই নয়, পুরুষ প্রতি মহিলার এই অনুপাত কমছে তথাকথিত শিক্ষিত দক্ষিণের কিছু জায়গাতেও।

কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বেটি বচাও, বেটি পঢ়াও’ প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। অন্যান্য রাজ্যের প্রশাসনও বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। তাও এরকম দুরবস্থা কেন? তাহলে কি কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রকল্পগুলির সুবিধা সমস্ত জায়গায় পৌঁছচ্ছে না? নাকি সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভূত? আইনের পক্ষ থেকেও সব সময় কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এবং সর্বোপরি, সামাজিক সচেতনতার অভাব। দেশে যেখানে মেয়েদের নিরাপত্তার অভাব, যেখানে কন্যাসন্তান জন্মানোকে আজও অপরাধ হিসেবে দেখা হয়, এবং সমস্ত ক্ষেত্রে প্রশাসনের অপদার্থতা ও উদাসীনতা প্রকট— সেই দেশ কিভাবে ‘আচ্ছে দিন’-এর স্বপ্ন দেখবে?