আবর্জনা গ্রাস করছে শৈলশহর দার্জিলিং-কেও

বাঙালির আর যাই করুক, দি-পু-দা যাওয়ার স্বপ্ন ছাড়তে পারে না সহজে। অর্থাৎ, দিঘা, পুরী এবং দার্জিলিং। আর দার্জিলিংয়ের প্রসঙ্গ এলেই কেমন নস্টালজিয়ায় ভুগি আমরা। সেই রেলিংয়ের ধার, সেই ম্যাল, সেই টয়ট্রেন। হঠাৎ একবার দার্জিলিংয়ে গিয়ে দেখলেন, আপনার হোটেল থেকে খানিক দূরেই একতাড়া ময়লা জড়ো করা হচ্ছে। যত্রতত্র আবর্জনার স্তুপ। খাদের ধার দিয়ে সেই আবর্জনা নেমে যাচ্ছে ক্রমশ নিচে।

উপরের বর্ণনাটা দুঃস্বপ্ন হলে বোধহয় ভালই হত। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। বাংলার অন্যতম বিখ্যাত টুরিস্ট ডেস্টিনেশনের সাম্প্রতিক হালটা কিছুটা এইরকমই। প্রতিদিন যে বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেটাকে ঠিকমতো প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে না। যেখানে সেখানে জমে থাকছে আবর্জনা। নিকাশি নালার মধ্যেও জমে থাকছে প্লাস্টিকের স্তুপ। সেগুলোকে সরানোও হচ্ছে না। ‘সেভ দার্জিলিং’ সহ বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, খোলা ভ্যাটে এইসব আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। যেসব ক্ষেত্রে ভ্যাট নেই, সেখানে খোলা জায়গায় ফেলে রাখা হচ্ছে। ফলস্বরূপ, দার্জিলিংয়ের স্বাভাবিক সৌন্দর্য তো কিছু জায়গায় নষ্ট হচ্ছেই, সেই সঙ্গে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। দার্জিলিংকে অন্যতম জীব বৈচিত্র্যের জায়গা বলা হয়। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা—প্রায় সবসময়ই ভিড় লেগে থাকে পর্যটকদের। সেই জায়গায় আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণের এই অবস্থা স্বাভাবিকভাবেই একটা শঙ্কার মুখোমুখি দাঁড় করায় আমাদের।

More From Author See More