জন্মের পরেই আস্তাকুঁড়েয়, সেদিনের পরিত্যক্ত শিশু আজ মেধার জোরে কোটিপতি

সফল হতে গেলে দরকার পরিশ্রমের। আর ভাগ্য? সেটা অনেকেই মানতে চান না। কিন্তু কিছু সফল মানুষ আছেন, যারা পরিশ্রমের সঙ্গে পাশে রাখেন ভাগ্যকে। সেইরকমই একজন হলেন ফ্রেডি ফিজারস। প্রায় জঞ্জালের গাদা থেকে উঠে আসা এই মানুষটিই আজ ৬২ মিলিয়ন ডলারের কোম্পানির মালিক।

রূপকথার গল্প মনে হলেও, ফ্রেডির জীবনে এই সবটা সত্যি। তাঁর প্রকৃত মা-বাবা কারা, সেটা তিনি জানেন না। মাত্র দুই বছর বয়সে সে আশ্রয় খুঁজে পায়। বেটি এবং নাথান ফিজারস একপ্রকার জঞ্জাল থেকেই ওই ছোট্ট শিশুকে কুড়িয়ে পায়। তারপর থেকে তাঁরাই হয়ে ওঠে ফ্রেডির অভিভাবক। তাঁর বাবা-মা।

গল্পটা এখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু সেটা হলে, ফ্রেডি ফ্রিজারসের উত্তরণের যাত্রাটাই বলা হত না। একদম ছোট থেকেই তিনি মেধাবী ছিলেন। বিশেষ করে, কম্পিউটার এবং ইলেক্ট্রনিক্সে তাঁর আগ্রহ ছিল মারাত্মক। মাত্র ১২ বছর বয়সে কম্পিউটার টেকনিশিয়ান হিসেবে চাকরি পান তিনি। আর, মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি শুরু করেন তাঁর কোম্পানি, ‘ফিজারস কমিউনিকেশন’। আর আজ, ৩০ বছরের ফ্রেডি এখনও সাফল্যের সঙ্গে কোম্পানিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আজ তাঁর কোম্পানির মোট মূল্যই হল ৬২ মিলিয়ন ডলার! শুধু টাকা হিসেবেই নয়, ফ্রেডির উদ্ভাবনী বুদ্ধি এবং দক্ষতার প্রশংসা অচিরেই ছড়িয়ে পড়েছে অনেক জায়গায়।

কঠোর পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা এবং ভাগ্য— এদের মিলিত প্রয়াসেই একজন নিজের সেরা জায়গায় পৌঁছতে পারে। জঞ্জালের ডেরা থেকে আমেরিকার উচ্চ স্থানে যাওয়া ফ্রেডির পা এখনও মাটিতে। কিন্তু লক্ষ্য আকাশছোঁয়া।