বনরক্ষীদের ক্যাম্পের কাছেই উদ্ধার মৃত গণ্ডার

ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৮। আসামের ওরাং ন্যাশনাল পার্কের রেঞ্জার্সরা তখন গ্রামবাসীদের করা ফোনে জর্জরিত। গ্রামবাসীরা রেঞ্জার্সদের জানিয়েছেন, তাঁরা একটি একশৃঙ্গ গণ্ডারকে দিকভ্রান্ত হয়ে ঘুরতে দেখেছেন। ওরাং ন্যাশনাল পার্ক থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ব্রহ্মপুত্রের চরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল গণ্ডারটি। যদিও এভাবে  দিকভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ানো গণ্ডার আসামের জাতীয় উদ্যানগুলির রোজকার চিত্র। কিন্তু তাদের আবার উদ্যানগুলির নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে আসা বনদপ্তরেরই কর্তব্য।

 জুন ২০১৮-র পর ওই গণ্ডারটিকে আর দেখা যায়নি। তারপরে অবশ্য পাওয়া গেল, তাকে, কিন্তু জীবিত নয়, মৃত অবস্থায়। বনরক্ষীদের ক্যাম্পের কাছেই মৃত গণ্ডারটির কঙ্কাল উদ্ধার হয়। স্বাভাবিক ভাবেই কর্তৃপক্ষ প্রশ্নের মুখে পড়েন। পরে আরো একটি সত্য সামনে আসে। তা হল, গণ্ডার নিখোঁজ হওয়ার পরে তার আর কোনো ট্র্যাক রিপোর্টই রাখেননি কর্তৃপক্ষ।

চাপের মুখে পরে ওই ন্যাশনাল পার্কের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর রমেশ কুমার গগৈ জানান গণ্ডারটি এখান থেকে চলে যাওয়ার পর তাঁরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছিলেন, কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর বুরাচিপরি লাওখোয়া ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুয়ারিতে গণ্ডারটিকে পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানেও ২৪ সেপ্টেম্বরের পর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি তাকে। গণ্ডারটি যে চোরাশিকারির হাতে পরেছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। গ্রামবাসীদের কারোরই ফরেস্ট অফিসারদের ওপর ভরসা নেই। এমনিতেই ২০১৫ সালে চোরাশিকারের ঘটনায় জড়িয়ে কাজিরাঙা ও ওরাং-এর ফরেস্ট গার্ড গ্রেফতার হয়েছিলেন। এখানেও কি রক্ষকই ভক্ষক?