গাছে-গাছে ঝুলছে ভয়ঙ্কর সব পুতুল, স্ট্যাফোর্ডশায়ারের অরণ্যের রহস্য আজও অমীমাংসিত

/৭

যেদিকে দুচোখ যায়, শুকনো গাছের গায়ে ঝুলে আছে অসংখ্য পুতুল। ঠিক ছেলেবেলার খেলনা পুতুল। কিন্তু অরণ্যের পরিবেশে তাদের চেহারা যেন রীতিমতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। স্ট্যাফোর্ডশায়ারের অরণ্যে এমনই ভুতুড়ে দৃশ্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন এক ৬৪ বছরের মহিলা। সমস্ত আতঙ্ক বুকে রেখেই ক্যামেরাবন্দি করেছেন সমস্ত দৃশ্য।

/৭

ইংল্যান্ডের দ্বিতীয়বারের লকডাউনের সময় মাঝেমাঝেই নির্জন রাস্তা ধরে অনেকদূর হেঁটে যাওয়াই ছিল এই মহিলার অভ্যাস। এভাবেই একদিন এসে পড়লেন হেডেনসফোর্ডের পরিত্যক্ত বনভূমিতে। আর সেখানেই দেখলেন এই অদ্ভুত দৃশ্য। খেলনা পুতুল হলেও তাদের চোখমুখের অভিব্যক্তি রীতিমতো ভয়ঙ্কর। আর কারোর শরীরে আছে খাঁকি পোশাক, কেউ আবার একেবারে বিবস্ত্র।

/৭

আপাতভাবে বিক্ষিপ্ত মনে হলেও একটু খুঁটিয়ে দেখলে মনে হয় পুতুলগুলোর মধ্যে একটা বিশেষ অর্ডার আছে। একটা নিয়ম মেনে সাজানো হয়েছে সমস্ত পুতুলগুলি। কিন্তু কে কবে বা কেন এই পুতুলগুলি গাছের গায়ে ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে, সেটা জানেন না কেউই। মনে হয় যেন কোনো ভৌতিক সিনেমার দৃশ্যের জন্যই যেন সাজানো হয়েছে এই অরণ্য।

/৭

ফিরে এসে এক অতিপ্রাকৃতিক বিশেষজ্ঞ বন্ধুকে নিয়েও গিয়েছিলেন মহিলা। তবে তিনি জানিয়েছেন, অলৌকিক কোনোকিছুই নেই এই অরণ্যে। হয়তো এখানকার ইতিহাসের মধ্যেই আছে কোনো রহস্য। আজও হয়তো মানুষের অজানা থেকে গিয়েছে সেই ইতিহাস।

/৭

প্রায় ৭০ বছর ধরে পরিত্যক্ত হয়ে আছে স্ট্যাফোর্ডশায়ারের এই বনভূমি। তার আগে এখানে ছিল ব্রিন্ডলে নামের একটি গ্রাম। একটি কোলিয়ারি কোম্পানির কর্মচারীদের বাসস্থান ছিল সেই গ্রামে। তৈরি হয়েছিল স্কুল, চার্চ এবং হাসপাতালও।

/৭

তারও আগে এই এলাকায় ছিল একটি মিলিটারি হাসপাতাল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি হয়েছিল এই পেনসন হসপিটাল। ১৯২৪ সাল পর্যন্ত সেই হাসপাতাল চালু ছিল। আর এই বিশেষ অংশেই ছিল হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার।

/৭

তবে কোনোকিছুর সঙ্গেই এখনও এই পুতুলের রহস্যের মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। হয়তো বা গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে ব্রিন্ডলের ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরাই গাছের গায়ে ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছিল পুতুলগুলি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের চেহারা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। ফেলে আসা অতীত হয়তো এমন ভয়ঙ্করই হয়।

Powered by Froala Editor

Latest News See More