মুম্বাই-দিল্লিতে সংক্রমণের গ্রাফ নামলেও বিপরীত ছবি কলকাতায়, জানালেন এমসের ডিরেক্টর

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন ২২১৬ জন মানুষ। ফলত মোট আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যে বেড়ে দাঁড়াল ৫৪ হাজার। পাশাপাশি একদিনে ৩৫ জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১২৯০। এমনই শোচনীয় অবস্থায় আষাঢ়ে মেঘের কথাই শোনালেন দিল্লি এমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। অন্যান্য শহরগুলির থেকে কলকাতার সংক্রমণের চরিত্র একেবারেই উল্টো। সংক্রমণের শিখরে এখনও পৌঁছায়নি কলকাতা। আসছে চলেছে কঠিন সময়।

ভাইরাসের সংক্রমণে সবথেকে খারাপ অবস্থা ছিল মহারাষ্ট্রের। বা বলা ভালো মুম্বাইয়ের। শুধু বাণিজ্যনগরীতেই এখনও অবধি সংক্রমণ পেরিয়ে গেছে এক লক্ষের সীমা। তারপরেই রয়েছে দিল্লি। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৭ হাজার। অন্যদিকে কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১৬ হাজার ৮২৬। এর থেকে আপাতদৃষ্টিতে কলকাতায় সংক্রমণ কম বা কলকাতা তুলনামূলক নিরাপদ মনে হলেও আসল ঘটনা পুরো উল্টো। 

দেশের তিনটি মেগাসিটি দিল্লি, মুম্বাই এবং আহমেদাবাদে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি হলেও সেখানে সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। অর্থাৎ সংক্রমণের চূড়ান্ত শিখর পেরিয়ে এসেছে এই তিনটি শহর। সেখানে কলকাতা এখনও অবধি সংক্রমণের শিখরেই পৌঁছায়নি। আর সেই কারণেই প্রতিদিন কলকাতায় লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। তবে কবে শিখরে পৌঁছবে বা সেই সময় কলকাতার সংক্রমণের মাত্রাই বা কেমন থাকবে, সে ব্যাপারে কিছু বলেননি ডঃ গুলেরিয়া। 

তবে এই কঠিন পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে গেলে যে শুধু সপ্তাহে দু’দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনেই কাজ হবে এমন না। কঠোর হতে হবে প্রশাসনকেও। কন্টেনমেন্ট জোনে কড়া নজরদারি চালাতে হবে পুলিশকে। দরকার পড়লে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করতে হবে। কনটেনমেন্ট জোনগুলিকে চিহ্নিত করে আইসোলেশন পাঠাতে হবে আক্রান্তদের। না হলে ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে সংক্রমণ।

তবে শুধু কলকাতা নয়, বিহার, উড়িষ্যা-সহ বহু রাজ্যের বিভিন্ন ছোট-বড় শহর এবং শহরতলিতে এই একই চরিত্র ভাইরাসের। সেখানেও ক্রমাগত বাড়ছে সংক্রমণ। তাই মেগাসিটিগুলো সংক্রমণ কমিয়ে এনে স্বস্তি দিলেও, চিন্তা বাড়াচ্ছে অন্যান্য জায়গাগুলি। আর সবমিলিয়ে সার্বিকভাবে দেশের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে দ্রুতগতিতে...

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
করোনার জন্য ধূমপান ছেড়েছেন ১০ লাখ মানুষ! অবাক ঘটনা ইউকে-তে