‘চৌকা পদ্ধতি’তে জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাজস্থানের গ্রামে

বৃষ্টি বলতে গেলে একদমই হয় না, চাষের পাঠ তুলে দেওয়ার মতো অবস্থা হয়ে যায়, আর্থিক সমস্যাতে প্রায় প্রত্যেকটি পরিবারকেই ভুগতে হয়। কোনো ট্র্যাজেডি ভরা সিনেমা নয় , রাজস্থানের প্রায় সব গ্রামের গল্প এটি। এই দুর্যোগ আটকাতেই, নিজের গ্রাম ও পরিবারকে বাঁচাতেই লাপরিয়া গ্রামের লক্ষ্মণ সিংহের অভিনব ভাবনাচিন্তা।

১৯৭৭ সালে গরমে যখন সবাই হাল ছেড়ে দিয়েছিল, শুধুমাত্র গ্রামের পুরোহিত এবং এক বন্ধুর সঙ্গে ১.৫ কিলোমিটার লম্বা ও ১৫ ফিট উঁচু পুরনো বাঁধ সংস্কার করতে শুরু করেন লক্ষ্মণ। উদ্যোগটি সাফল্য পেলে, আরও লোকের সহায়তা নিয়ে গ্রামের অন্যান্য বাঁধ এবং পুকুর সারিয়ে তোলেন তাঁরা। পাশাপাশি, ‘বিকাশ নবজুবক মণ্ডল লাপরিয়া’ নামে একটি এনজিও খোলেন। 'চৌকা সিস্টেম' আবিষ্কার করে নিজেদের মতো জল সংরক্ষণ করছেন তাঁরা। এতে ৯ ইঞ্চি গভীর চ্যানেলের জন্য চৌকো আকারে মাটি খোদাই করে, দুদিকে দু’ফুটের মাটির বাঁধ তুলে দেওয়া হয়। বৃষ্টি হলে, বৃষ্টির জল জমা হয়ে একের পর এক চৌকা ভরতে থাকে, এবং বাঁধ থাকার কারণে জলের স্রোত কমে যায়। ফলে মাটির নিচের জলস্তরও বেড়ে যায়। ৪০০ বিঘা জমি জুড়ে বানানো এই চৌকা মাটির নিচের জলস্তর ১৫ ফিট তুলে এনেছে, বাঁধের ওপর গাছের গুণমান বাড়িয়েছে, গাছের কারণে পাখির সংখ্যা  বেড়েছে, এবং সব মিলিয়ে  বেড়েছে গ্রামবাসীদের বার্ষিক আয়ও।