রেহাই নেই ১৯ হাজার ফুটেও, বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোয়

কিছুদিন আগেই জঙ্গল ছিল সবুজ পাতায় ঢাকা। সূর্যের আলোও সেই আস্তরণ ভেদ করে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু হঠাৎ দেখা গেল সেই জঙ্গল দাউ দাউ করে জ্বলছে। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ছে আশেপাশেও। এমন দৃশ্য সম্প্রতি পৃথিবীর নানা প্রান্তেই দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবার সেই ঘটনাই ঘটল মাটি থেকে ১৯ হাজার ফুট উঁচুতে। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আগুন জ্বলছে আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কিলিমাঞ্জারোর চূড়ায়।

সম্প্রতি তাঞ্জানিয়া ন্যাশানাল পার্কের একটি ট্যুইটের দৌলতে অগ্নিকাণ্ডের কথা ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, তার আগে পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রসাশনিক উদ্যোগ চোখে পড়েনি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। বনভূমি সংরক্ষক সংস্থার এমন আচরণে সত্যিই অবাক সকলে। তবে আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও তেমন উন্নতি চোখে পড়েনি। এক সপ্তাহের উপর ধরে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরিবর্তে ক্রমশ ছড়িয়েই পড়ছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। প্রতিক্ষেত্রের মতো এক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের দাবি, কোনো পর্যটকের বর্ন-ফায়ারের আগুন থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। তবে এই করোনা পরিস্থিতিতে সেই দাবির সম্ভাব্যতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। গতবছরের শুরুতেই আমাজনের ঘটনা অবাক করেছিল সকলকে। এরপর একে একে অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া এবং এখন মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো। যে পর্বত সারা পৃথিবীর সমস্ত আগ্নেয়গিরির মধ্যে উচ্চতম। তার জীববৈচিত্র্যও আলাদা। বর্তমান অগ্নিকাণ্ড সেই জীববৈচিত্র্যকেও বিপন্ন করে তুলেছে।

সারা পৃথিবীতে একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যেন অন্য কোনো কারণের দিকেই নির্দেশ করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সারা বিশ্বের ক্রান্তীয় ও নিরক্ষীয় বনভূমির ৬০ শতাংশই অগ্নিকাণ্ডের শিকার হতে চলেছে খুব শিগগিরি। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন তাঁরা। তবে এই ঘটনা আটকানোর উপায় কী, তা এখনও জানেন না কেউই।

Powered by Froala Editor