শ্বেতী-আক্রান্তরা প্রান্তিক নয়, নাতনির জন্য পুতুল তৈরি করে বার্তা দাদুর

সাধারণত কেউ ‘অন্যরকম’ হলেই সমাজের একটি বৃহত্তর অংশ তাকে হয় সমীহ না হলে উপেক্ষা করে। সমীহর থেকে উপেক্ষাই জোটে বেশি। উপেক্ষা জুটেছিল জোয়া স্ট্যানগানেল্লি-রও। ব্রাজিলের প্রায় ৩ মিলিয়ন মানুষ শ্বেতী-তে আক্রান্ত। ৬৪ বছরের এই বৃদ্ধ-ও শ্বেতী-তে আক্রান্ত হন, যখন তাঁর বয়স মাত্র ৩৮।

স্ট্যানগানেল্লি কখনো চাননি, সমাজের বিরূপ প্রতিক্রিয়া কোনো শ্বেতী আক্রান্ত শিশুর মনেও পড়ুক। সমাজের বিরূপ মনোভাব যাতে তাকেও না আক্রান্ত করে, সেই কারণেই তিনি ও তার স্ত্রী মেরিলিনা মিলে শেখা শুরু করলেন উলের পুতুল বোনা। কাজটা সহজ ছিল না, কিন্তু গভীর অধ্যবসায়ে মাত্র ৫ দিনের মধ্যে তৈরি করেছিলেন তাঁর নিজের তৈরি পুতুল।

প্রথমে অবশ্য এটাই আসল উদ্দেশ্য ছিল না স্ট্যানগানেল্লি-র। চেয়েছিলেন নিজের নাতনির জন্য পুতুল তৈরি করবেন। কিন্তু সাধারণ পুতুল নয়। ভেবেছিলেন এমন কিছু করবেন যা সবাই মনে রাখবে। তৈরি করলেন ভিটিলিন্ডা, ভিটিলিগো বা শ্বেতী আক্রান্ত পুতুল। ফ্যাকাশে রঙের উল দিয়ে তৈরি করলেন তার মুখ ও হাত পায়ের কিছু অংশ। শুধু শ্বেতী আক্রান্ত পুতুল দিয়েই থেমে থাকেননি তিনি। এরপর তৈরি করলেন হুইল চেয়ারে বসা পুতুল। আসতে আসতে স্ট্যানগানেল্লি-র কাজ সবাই পছন্দ করতে থাকলেন। তিনিও এগিয়ে যেতে থাকলেন তাঁর লক্ষ্যের দিকে। এও এক আন্দোলন। নয় কি?

More From Author See More

Latest News See More