গিয়েছিল চুরি করতে, বদলে মধুর স্বাদ-পরীক্ষকের ‘চাকরি’ পেল ভাল্লুক!

'মধুর লোভী' শুধু 'মৌলভী' নয়, আমরা প্রত্যেকেই মধু খেতে ভালোবাসি। এমনকি না-মানুষ প্রাণীরাও মধুর স্বাদে বুঁদ হয়ে থাকে। আর মধুচুরিতে ভাল্লুক তো রীতিমতো 'এক্সপার্ট'। মধু আহরণের জন্য মৌচাকের উপরেও হামলা চালায় তারা। মধুচাষিদের জন্য তাই ভাল্লুকের মতো শত্রু আর নেই। ভাল্লুকের হাত থেকে মৌচাক বাঁচাতে তাই জাল দিয়ে বা ফাঁদ পেতে রাখেন তাঁরা। তেমনটাই করেছিলেন ইব্রাহিম সেডেফ। তবে তাতেও খুব একটা লাভ হচ্ছিল না। দুএকদিন নির্বিঘ্নে কাটলেও, আবার সেই ভাল্লুকের আগমন। তবে এই উপদ্রবের হাত থেকে বাঁচতে শেষ অবধি যা করলেন সেডেফ, এককথায় তা এক ইতিহাস গড়ে দিল।

আরও পড়ুন
কোয়ালাদের শুশ্রূষায় খোদ সেনাবাহিনী, দাবানলে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়ার ছবি

যে ভাল্লুকের উপদ্রবে মধুচাষ রীতিমতো লাটে উঠতে বসেছিল, সেই ভাল্লুককেই ফার্মের কর্মচারী বানিয়ে নিলেন সেডেফ। 'হানি টেস্টার' বা মধুর স্বাদ পরীক্ষক হিসাবে বেশ ভালোই কাজ করছে এই ভাল্লুক। তার সামনে তিন-চার রকম মধু রাখলে প্রথমেই সে হাত বাড়ায় আঞ্জের মধুর দিকে। তুর্কি দেশের বিখ্যাত আঞ্জের মধুর স্বাদ মানুষের কাছে তো অদ্বিতীয়। এমনকি এই মধুর স্বাদে মুগ্ধ ভাল্লুকও। তাই বোঝা যায় ভাল্লুকের মধু-রুচি মানুষের বেশ কাছাকাছি। আর সেজন্যই তো তাকে ফার্মের। কাজে নিয়োগ করেছেন সেডেফ।

আরও পড়ুন
অন্তঃসত্ত্বা বাঘিনীকে পিষে দিয়ে গেল গাড়ি, বন্যপ্রাণের বিনিময়ে এ কোন উন্নয়ন?

তুরস্ক দেশের মধুচাষি ইব্রাহিম সেডেফ। ভাল্লুকের উৎপাত থেকে যখন কিছুতেই রেহাই পাচ্ছেন না, তখন ভাল্লুকের মধু-বিলাসের চরিত্র বুঝতেই চেষ্টা করলেন তিনি। আর সেজন্য ফার্মের চারদিকে বেশ কতগুলি নজরদারি ক্যামেরা লাগিয়ে তার চলাচল দেখতে শুরু করলেন। তখনই মাথায় এসে গেল এই অভিনব পরিকল্পনা। যেমন পরিকল্পনা তেমন কাজ। সেডেফ তাঁর ফার্মের জন্য পেলেন নতুন কর্মচারী, আর ভাল্লুকও নিশ্চিন্ত নিয়মিত মধুর যোগান পেয়ে। মানুষ আর ভাল্লুকের এই যৌথ ব্যবসা একুশ শতকের এক রূপকথার মতো। এখন লাভ-ক্ষতির অঙ্ক ঠিক থাকলেই সবদিক থেকে অসাধারণ হয়ে উঠবে এই উদ্যোগ।

More From Author See More