গ্রিসের ধ্বংসস্তূপ থেকে আবিষ্কৃত ২ হাজার বছরের পুরনো হারকিউলিস-মূর্তি

আজ থেকে প্রায় ২৪০০ বছর আগের কথা। ৩৫৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে উত্তর-পূর্ব গ্রিসে এক মহানগরীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সম্রাট ফিলিপ। সম্পর্কে তিনি ম্যাসিডোনিয়ান সম্রাট আলেকজান্ডার দি গ্রেটের বাবা। তৎকালীন সময়ের অন্যতম আধুনিক শহর ছিল ‘ফিলিপি’-খ্যাত (Philippi) এই জনপদ। পরবর্তীতে যা অংশ হয়ে উঠেছিল রোমান সাম্রাজ্যের। এবার এই শহরের ধ্বংসস্তূপ থেকেই আবিষ্কৃত হল পাথরের তৈরি প্রায় ২ হাজার বছরের পুরনো হারকিউলিসের (Hercules) মূর্তি। 

প্রত্নতাত্ত্বিক দিক থেকে ফিলিপি নগরী গুরুত্ব অপরিসীম। গ্রিক, রোমান, মেসিডোনিয়ান এবং পরবর্তীতে অটোমান সংস্কৃতিও মিশেছে এই জনপদে। ফলে, চিরকালই প্রত্নতাত্ত্বিকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করেছে এই জনপদ। গত বছর ফিলিপির ইতিহাস অনুসন্ধানে প্রাচীন ধ্বংসস্তূপে খননকার্য শুরু করেছিলেন গ্রিসের অ্যারিস্টটল ইউনিভার্সিটি অফ থেসালোনিকির গবেষকরা। সেই খননকার্য থেকেই এবার আবিষ্কৃত হল হারকিউলিসের মূর্তিটি। 

গ্রিক মাইথোলজি অনুযায়ী, সবমিলিয়ে ১২টি দুঃসাহসিক অভিযান করেছিলেন জিউস-এর অর্ধ-মানব সন্তান তথা ডেমি-গড হারকিউলিস। যার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘নিমিয়ান লায়ন’ বধ। সদ্য-আবিষ্কৃত হারকিউলিসের মূর্তিতে বর্ণিত হয়েছে এই পৌরাণিক কাহিনিটিই। হারকিউলিসের এক হাতে রয়েছে সিংহের বিচ্ছিন্ন মাথা, অন্যহাতে মুগুর। গবেষকদের অনুমান, প্রথম থেকে দ্বিতীয় শতাব্দীর মধ্যে নির্মিত হয়েছিল এই মূর্তি। অর্থাৎ, তার বয়স ১৮০০ বছরের বেশি।

রোমান শাসনের সময় ফিলিপি নগরীর রাস্তাঘাট সাজিয়ে তোলা হয়েছিল পাথরের ফোয়ারায়। হারকিউলিসের মূর্তিটি তেমনই একটি ফোয়ারার অংশ বলেই মনে করছেন গবেষকরা। যদিও তা নিশ্চিত করার মতো এখনও কোনো প্রমাণ আসেনি গবেষকদের হাতে। আপাতত মূর্তিটি পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েচেহ অ্যারিস্টটল বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে গ্রিসের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া মন্ত্রালয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে ‘লার্জার দ্যান লাইফ’-খ্যাত এই মূর্তিটি…

Powered by Froala Editor