পারদ ছাড়াল সব মাত্রা, অ্যান্টার্কটিকার রেকর্ড উষ্ণতায় চাঞ্চল্য

বিশ্বজুড়ে গ্রিন হাউস গ্যাসের দাপটে বাড়ছে উষ্ণতা, বদলাচ্ছে জলবায়ু। আর এই পরিবর্তনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না জনবসতিহীন অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশও। গত পঞ্চাশ বছর ধরেই একটু একটু করে বাড়ছে উষ্ণতা। বেড়ে উঠছে পার্শ্ববর্তী সমুদ্র অঞ্চলের জলস্তর। আর সম্প্রতি আর্জেন্টিনার গবেষণা সংস্থা এস্প্যারেঞ্জা'র থার্মোমিটারে অ্যান্টার্কটিকার স্থানীয় উষ্ণতার রিডিং বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

থার্মোমিটারের রিডিং-এ দেখা যাচ্ছে, ৭ ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আমেরিকার নিকটবর্তী অঞ্চলে উষ্ণতা ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পূর্ববর্তী রেকর্ডের থেকে যা ০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এর আগে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ওই অঞ্চলে বায়ুর উত্তাপ পৌঁছেছিল ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এতদিন পর্যন্ত সেটাই ছিল অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের রেকর্ড উষ্ণতা।

আর্জেন্টিনার গবেষণা সংস্থাটির রিডিং খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল কাজ শুরু করেছে। তবে অ্যান্টার্কটিকার উষ্ণতা যে ক্রমশ বাড়ছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই বলেই জানিয়েছেন ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস রেনউইক। গত পঞ্চাশ বছরে মহাদেশের গড় উষ্ণতা বেড়েছে প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুহাজার বছরের ইতিহাসে সেটা নজিরবিহীন বলেই জানাচ্ছেন অধ্যাপক নেরিলি আব্রাম। মহাদেশের উত্তর-পশ্চিম থেকে আগত বায়ুস্রোতে বয়ে আসছে গ্রিন হাউস গ্যাস। আর তার ফলেই বাড়ছে উষ্ণতা। বিশ্বব্যাপী পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বরফে ঢাকা অ্যান্টার্কটিকাও। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো খুব শিগগিরই অ্যান্টার্কটিকায় টি-শার্ট পড়ে ঘুরে বেড়ানো যাবে বলে মনে করছেন অধ্যাপক আব্রাম।