৩২ জন কাশ্মীরি মহিলাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলেন এই শিখ

পরিবার ছেড়ে থাকার কষ্ট যে কী, তা অনেকেরই জানা। আর যাঁদের পরিবার নেই, একাকিত্বে ক্রমশ ডুবে যান তাঁরা। ভাবুন তো, আপনার পরিবারের সঙ্গে যদি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় হঠাৎ? ভেবে দেখেছেন, কতটা অসহায় লাগবে তখন?  আর্টিকেল ৩৭০ এবং ৩৫-এ কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়ার পর,  এই অসহায়তার মুখোমুখি হয়েছিলেন এমন অনেক কাশ্মীরি। এমনই ৩২ জন অসহায় কাশ্মীরি মহিলাকে তাঁদের ঘরে পৌঁছে  দিতে সাহায্য করেছেন পুনের সফটওয়ারে ইঞ্জিনিয়ার হার্মিন্দর সিং আলুওলিয়া।

কাশ্মীরের ওই ঘটনার পর, ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন হার্মিন্দার। সেই পোস্টে তিনি তাঁর কাছাকাছি অবস্থিত কাশ্মীরিদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, এবং তাঁদের গুরুদ্বারায় আশ্রয় নিতে বলেন। পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েও সাহায্য না পাওয়া ৩২ জন মহিলা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ১৭ থেকে ৩২ বছর বয়সী ওই মহিলারা পুনের একটি প্রতিষ্ঠানে নার্সিং-এর ট্রেনিং নিচ্ছিলেন। এরপর, আরেকজন শিখ ব্যবসায়ীর সাহায্যে যত জলদি সম্ভব তাঁদের প্লেনে করে কাশ্মীরে পৌঁছে দেওয়া হয়। ওখান থেকে ইন্ডিয়ান আর্মি তাঁদেরকে নিজেদের ঘরে পৌঁছোতে সাহায্য করে।

হার্মিন্দরের এই উদ্যোগ প্রশংসা পেয়েছে সর্বত্র। বিপদের সময় যেভাবে তিনি এগিয়ে এসেছিলেন, প্রতিটি আদর্শ মানুষেরই তা করা উচিৎ - এমনও বলেছেন অনেকে।