সময় মাত্র এক বছর, পরিবেশ বাঁচাতে এগিয়ে না এলে ধ্বংস অনিবার্য

নতুন দশক হাজির হয়েছে ইতিমধ্যেই। সঙ্গে নতুন বছরও। আর তাকে স্বাগত জানাতে গোটা পৃথিবীর মানুষ মেতে উঠেছে। কিন্তু এই পৃথিবীকে আদৌ কি বাসযোগ্য করে তুলতে সক্ষম হচ্ছি আমরা? বোধহয় না। পরিবেশকে রক্ষা করতে আগামী বছরের মধ্যেই প্রত্যেককে আরও বেশি সচেতন হতে হবে, নাহলে দ্রুত ফুরোবে পৃথিবীর আয়ু - এমনটাই জানালেন ‘ন্যাচারাল ইংল্যান্ড এবং এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি’র সদস্যরা।

গত বছর অর্থাৎ ২০১৯-এ পৃথিবী দেখেছে আমাজন সহ বিশ্বের বিভিন্ন বনাঞ্চলের আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা। সমুদ্রে প্লাস্টিকের প্রভাবে মারা গেছে বহু জলজ প্রাণী। বন্যপ্রাণ হত্যা, অবাধে গাছ কাটা – কমতি নেই কিছুরই। হঠাৎ বন্যা হোক কিংবা খরা, প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার সঙ্গে কিছুতেই খাপ খাওয়াতে পারছে না মানুষ।

গত পঞ্চাশ বছরে ৪১ শতাংশ বন্যপ্রাণীর প্রজাতি হ্রাস পেয়েছে ইংল্যান্ডে। এখন ১৩ শতাংশ প্রাণী সে-দেশে বিপন্ন হবার মুখে। মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত হওয়া ইউএন ক্লাইমেট টকসে তাই উঠে এসেছে পৃথিবীকে রক্ষা করার কথা। আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের বিশেষ দিকগুলিও।

জলবায়ুর পরিবর্তনেত ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাস্তুতন্ত্র। তাই ২০২০-র মধ্যেই সকলকে একজোট হয়ে পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এগিয়ে আসতে হবে। এখনই দেরি হয়ে গেছে অনেক। দরকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো, বেআইনি গাছ কাটা বন্ধ করা ইত্যাদির বিরুদ্ধে এখন থেকে লড়াই শুরু না হলে, সত্যিই কি কিছু নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর?