কমছে বাল্যবিবাহ, শিশুমৃত্যু বা শিশুশ্রম – শৈশবের স্বাদ ফিরছে পৃথিবীজুড়ে

‘এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য ক’রে যাব আমি’ - লিখেছিলেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। তারপর পেরিয়ে গেছে বহু দশক, কিন্তু সত্যিই কি সব শিশুরা এ পৃথিবীতে সুস্থ-স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে ওঠে? একদমই নয়, অন্তত ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’-এর রিপোর্ট সে-কথাই বলে। ২০০০ সালে, গোটা বিশ্বে ৯৭০ মিলিয়ন শিশুর জীবন থেকে হারিয়ে গেছে শৈশব।

অকালে শৈশব হারানোর ঘটনা ভারতেও নতুন কিছু নয়। শিশুশ্রম, অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া, অপুষ্টি বা অসুস্থতায় জর্জরিত বহু বাচ্চারাই তাদের স্বাভাবিক ছেলেবেলা হারিয়ে ফেলে অল্প বয়সেই। কিন্তু, সেভ দ্য চিলড্রেনের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী গত দু’দশকের মধ্যে এই সংখ্যাটা এক-তৃতীয়াংশ কমেছে।

এই সময়কালে ১১৫ মিলিয়ন শিশুকে স্কুলে পাঠানো সম্ভব হয়েছে, বাল্যবিবাহের হাত থেকে বেঁচেছে ১১ মিলিয়ন মেয়ে। ৩ মিলিয়ন মেয়েকে অল্পবয়সেই গর্ভধারণের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। শিশুশ্রম থেকে রক্ষা পেয়েছে ৯৪ মিলিয়ন শিশু। আর, খুন বা হিংসার কবলে মৃত্যু হওয়ার থেকে বেঁচেছে ৪.৫ মিলিয়ন শিশু।

ভারত, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের মত দেশগুলিতে মেয়েদের শিক্ষার হার বাড়ায় অনেকটাই কমেছে এমন ঘটনা। আশা করা যায়, আগামী দু দশকের মধ্যে এই সংখ্যাটা আরও কমবে। ৩০০ মিলিয়ন শিশু ফিরে পাবে স্বাভাবিক জীবন, পরিবারে শান্তিতে অনান্য শিশুদের মতোই বেড়ে উঠবে সুযোগ সুবিধে পেয়ে বেড়ে উঠবে - এমনটাই লক্ষ্য সেভ দ্য চিলড্রেনের। সত্যিই এমন হলে, হয়ত এই শতকের শেষে সংখ্যাটা কমতে কমতে একেবারে শূন্য হয়ে যাবে। পৃথিবীকে সমস্ত শিশুদের বাসযোগ্য গড়ে তোলার স্বপ্ন পূর্ণ হবে সেদিনই।