টেনশন কমাতে চান? হাজির কোচবিহারের নয়া দেবতা ‘টেনশন ঠাকুর’

বাঙালির জীবনে আর যা-কিছুরই কমতি থাকুক না কেন, ঠাকুর-দেবতার অভাব নেই কোনো। ভালোয়-মন্দে-দুঃখে-আনন্দে কপালে হাত ঠেকাতে ভালোবাসেন অনেকেই। ছোট হোক বা বড়, আরাধ্য দেবদেবীর তালিকাও নেহাৎ কম নয়। সেই তালিকাতেই যদি যোগ হয় আরও একটি নাম? একেবারে আধুনিক, সময়োপযোগী? উঁহু, নাম শুনে চমকে উঠবেন না যেন। হেসেও ফেলবেন না। বরং সিরিয়াসলি প্রার্থনা করুন এই দেবতার কাছে। কে জানে, আর কেউ পারুক বা না পারুক, কৃপা হয়তো করে দিলেন ইনিই!

আরও পড়ুন
২ টাকায় তেলেভাজা বিক্রি করেই মেয়েকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াচ্ছেন বেলঘরিয়ার এই দোকানি

বলছি টেনশন ঠাকুরের কথা। হ্যাঁ, ‘টেনশন ঠাকুর’। ঠাকুর পদবিধারী কোনো মানুষ নন, স্বয়ং দেবতা। রীতিমতো মূর্তিও আছে তাঁর। শাস্ত্র ঘেঁটে অবশ্য এঁর কোনো খোঁজ পাবেন না। একুশ শতকের মর্ডান দেবতা তিনি। কাজ হল লোকের টেনশন কমানো।

কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে বেদির ওপর অধিষ্ঠিত তিনি। মূর্তিটি কে বানিয়েছেন, তা জানা যায় না। লাল একটি বেদি থেকে গলা-অব্দি মুখ তাঁর। জলাভূমির পাশে অধিষ্ঠান। রীতিমতো উৎসব করে পুজো হয় প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ সংক্রান্তিতে। তিন-চার বছর হল শুরু হয়েছে তাঁর পুজো। এছাড়াও নিত্যসেবা তো আছেই। টেনশন কি আর একদিনের!

গ্রামবাসীদের কথায়, টেনশনের শেষ নেই তাঁদের জীবনে। অন্যান্য বিপদ-আপদ দূর করার জন্য দেবদেবীরা থাকলেও, টেনশন কমাতে কেউ ছিলেন না এতদিন। সে-কারণেই প্রতিষ্ঠা করা হয় এই টেনশন ঠাকুরকে। তাঁদের কথায়, টেনশন ঠাকুরের কৃপায় নাকি কেটেও যাচ্ছে অনেকের দুশ্চিন্তা।

টেনশন কারই বা নেই! যে-কোনো বিষয় – তা চাকরি হোক, প্রেম বা অন্য কিছু – কম-বেশি প্রত্যেকেই টেনশনে ভোগেন। একবার টেনশন ঠাকুরের শরণ নিয়ে দেখবেন নাকি? কে বলতে পারে, তাঁর মুচকি হাসির লীলাতেই হয়তো দূর হয়ে গেল আপনার সব চিন্তা!

Latest News See More