“আমি শ্রাবণ আকাশে ওই দিয়েছি পাতি...”

পর্ব - ২
শৈলজারঞ্জনের অনুরোধে সেবার ষোলটি নতুন গান বর্ষামঙ্গলের জন্য লিখে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। গানগুলো অবশ্য সুরে ও সঙ্গীতরূপে নতুন হলেও, ভাবের দিক থেকে অনেক ক্ষেত্রেই তাঁর চিরপুরাতন, চিরন্তন কাব্যভাষ্যের প্রতিফলন। অনেক আগে থেকেই তাঁর কাব্যজগতে শ্রাবণ যে সৃষ্টিসম্ভারের ইঙ্গিত নিয়ে এসেছে, তার সংকেতই তো মেলে ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’-এর মত বহুশ্রুত একটি গানে। গানটির সঙ্গে ‘সোনার তরী’র ভাবগত মিল সহজেই ধরা পড়ে। আপাত দৃষ্টিতে বর্ষার অনুষঙ্গে লেখা প্রকৃতি পর্যায়ের গান, কিন্তু প্রেম ও পূজার ভাবসম্মিলনের দৃষ্টিতে একে ‘দেওয়া নেওয়া’ পর্যায়ের গান বললে খুব ভুল হয় কি? ‘সানাই’ কাব্যগ্রন্থে এর কাব্যরূপের নামও কিন্তু ‘দেওয়া নেওয়া’। বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল কবির হাতে, গীতস্রষ্টার হাতে আসে উপহার রূপে। তার বিনিময়ে প্রতিদান দেন তিনি- শ্রাবণের গান, সেই গান আবার “সুরের ক্ষেতের প্রথম সোনার ধান”- যা সোনার তরীর চিত্রকল্প আর গভীর ব্যঞ্জনা মনে করিয়ে দেয় বার বার – “ফিরিয়া ফিরিয়া আসিবে তরণী বহি তব সম্মান।”

গানটি বিভিন্ন সময়ে গেয়েছেন অনেক গুণী শিল্পীই। ব্যক্তিগত বোধ এক এক জন শ্রোতার কাছে এক এক রকম তো হবেই। তবে এ গানের অর্থ যেভাবে পরিস্ফুট করেছেন দেবব্রত বিশ্বাস আর হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, তার জন্য কোন এক সাধারণ শ্রোতার মনন যদি চিরঋণী হয়ে পড়ে তাঁদের কাছে, তাকে খুব একটা দোষ দেওয়া যায় কি? বর্ষামঙ্গলের আনুষ্ঠানিক প্রয়োজনে গানটি রাগ মেঘমল্লারে, দাদরা তালে বাঁধা। কিন্তু দেওয়া নেওয়া পর্যায়ের গানে যে অসম লীলায় ধরা পড়ে মানুষ ও প্রকৃতি, দাতা ও গ্রহীতা, প্রেমী ও প্রেমাস্পদ, ভক্ত ও ভগবান- সেই লীলার ভাবরূপকে নাই বা বাঁধা হল তালে- নিভৃতে, “আপন মনের মাধুরী মিশায়ে” গাওয়ার সময়? ‘মেঘের ছায়ায় অন্ধকারে রেখেছি ঢেকে তারে’ বা ‘এ গান আমার শ্রাবণে শ্রাবণে’- এই অংশের সুরে যে ক্রমোচ্চগতি, তা একই সাথে নিজেকে, নিজের সৃষ্টিকে ব্যক্ত করার এবং গুপ্ত রাখার প্রয়াস। দেবব্রত বিশ্বাসের মাত্রাবর্জিত অথচ ভাবসমৃদ্ধ গায়কিতে, ‘দান’, ‘গান’, ‘সোনার ধান’ শব্দগুলির অতিসংবেদী আ-কার সহ উচ্চারণে এই গানের ব্যঞ্জনা ধরা দেয় এক  প্রায়-দার্শনিক স্তরে।

হেমন্ত মুখোপাধ্যায় একই গানের পরিবেশনায় তাঁর কণ্ঠে তুলে আনেন ভিন্নতর রহস্যময় এক বোধ, যা ইন্দ্রিয়জ হয়েও অতীন্দ্রিয়, যাকে ‘mystic’ বললেও বোধহয় ঠিক ব্যখ্যা করা যায় না। মিয়াঁ মল্লারে শুদ্ধ গান্ধারের প্রয়োগ হত না সচরাচর। রবীন্দ্রনাথ মল্লারে গান বাঁধলেন, কোমল গান্ধারের পাশাপাশি লাগালেন শুদ্ধ গান্ধারও। এই স্বরের যোগে বাংলার শ্রাবণ-প্রকৃতির পটে মল্লার কেমন রূপ নিতে পারে, সে আভাস মেলে এই স্নিগ্ধগম্ভীর কণ্ঠের অনন্য স্বরক্ষেপণে। ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’ মধ্য-ধীর লয়ে ধরার সঙ্গে সঙ্গেই যেন ছবিটা আঁকা হতে থাকে একটু একটু করে। একটা বাদলা দিন, মেঘে ঢাকা। বৃষ্টি হয়ে দিনটা যেন ঝরে ঝরে পড়ছে। সেই দিনের প্রথম ফোটা কদম ফুল। কদম ফুল দেখতে কেমন? যেন সদ্য জন্মানো একটা শিশুর মাথা, নরম নরম রোঁয়া। একটা নতুন প্রাণের সৃষ্টি। আবার ‘কদম্ব শিহরণ’ কথাটি রসসাহিত্যে পরম রোমাঞ্চের প্রকাশ; রাধাকৃষ্ণের লীলাবিলাসেও কদম ফুলের ভূমিকা রসজ্ঞ ব্যক্তি অস্বীকার করতে পারবেন না। জৈবিক অস্তিত্বে, প্রকৃতিতে হোক, বা নান্দনিকতার উচ্চতর ভাবনায়- পুরুষ আর প্রকৃতির মিলনে নব সৃষ্টির আবাহন। একটা গানের সৃষ্টিও তো তেমনি। বাণী ও সুরের রচনাকার যখন নিজের সৃষ্টিশীল সত্তায় ধারণ করেন পুরুষ ও প্রকৃতিকে- তখনই একটা সুর, একটা হৃদয় ছোঁয়া গান, একটা মুগ্ধতার জন্ম। সেই মুগ্ধতার ফসল- একটি কদম ফুল। 

শিশুকে তো জন্মের পর খুব যত্ন করে ঢেকে রাখতে হয়। মেঘের ছায়া যেন মায়ের আঁচল হয়ে সেই নতুন প্রাণকে ঘিরে রাখে। এই মেঘের ছায়ার যে অন্ধকার, সে যেন মায়ের গর্ভের অন্ধকার। সেই নতুন প্রাণ আবার সুরের খেতের প্রথম সোনার ধানের মতো। যিনি সৃষ্টি করছেন, যিনি গাইছেন, তাঁর মধ্যেও তো কোনো-না-কোনো ভাবে সেই মায়ের প্রাণই কাজ করে- গানটা তাঁর সন্তান। তাঁর শরীর, আত্মা, সৃষ্টিসত্তা তখন একটা চষা জমির মত – মা বসুন্ধরা... সেখান থেকে উঠছে সুর – সোনার সীতার মত। সেই সৃষ্টির সঙ্গীতময় রূপ- এই গান।

তারপর ‘সোনার তরী’র কবির হয়েই যেন শিল্পী বলছেন, তুমি আজ আমায় মুগ্ধতার ফুল এনে দিলে সেই গান শুনে। হয়তো কাল আর দেবে না। এত দিলে তোমার ভাঁড়ার যে শূন্য হয়ে যাবে। রিক্ত হবে যে তোমার ফুলের ডাল। যেটুকু দিয়েছ তাই অনেক। ‘রিক্ত হবে যে তোমার ফুলের ডাল’ শুনে অসহ্য সুখে কেঁপে ওঠে হৃদয় – আমার রিক্ততা, তুচ্ছতার জন্যও তাঁর এতখানি ভাবনা! তিনি আরও বলেন, আমার দেওয়া তো তাই বলে শেষ হতে পারে না। ‘তব বিস্মৃতি স্রোতের প্লাবনে’ গাওয়ার সময় মনে হয় বিস্মৃতির এই স্রোতে ডুবে যাওয়াতেই বোধহয় চরম সুখ, কারণ আমি ভুলে গেলেও তিনি তো ভুলবেন না, আমি দিতে না পারলেও তিনি তো দিয়েই যাবেন, শ্রাবণে শ্রাবণে, প্রতিবার, অনন্তের ব্যাপ্তিতে।

এই অনন্তের বোধ রবীন্দ্রনাথের শ্রাবণের গানে বার বার ফিরে আসে। শ্রাবণের সঙ্গে যেন এক গভীর ষড়যন্ত্র রচনা করেছে অসীম। ধরা যাক কবির আটচল্লিশ বছর বয়সে ১৩১৬ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে শান্তিনিকেতনে বসে লেখা ‘আজি শ্রাবণঘন গহন মোহে গোপন তব চরণ ফেলে’ গানটি। ‘গীতাঞ্জলি’র এই গানটি কবির জীবনদেবতা-ভাবনার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত, আর সেই জীবনদেবতা তথা প্রিয়তমের গোপন অভিসারের জন্যে বর্ষাপ্রকৃতি এক অপূর্ব স্নিগ্ধ প্রেক্ষাপট এঁকে দিয়েছে। শ্রাবণের দিবসের ঘনীভূত বিরহ যেন মূর্তি ধরেছে রাতের কল্পনায়; ধরা দিয়েছে পরম সুন্দর, অন্তরতর প্রেমিকের গতিপথ। নিলাজ নীল আকাশ যেন কৃষ্ণরূপেরই নৈসর্গিক অভিব্যক্তি। এখানে সেই প্রমত্ত বর্ষার উদ্দাম রূপ নেই, বর্ষণস্তম্ভিত মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, আর শ্রাবণের এক মোহসঞ্চারী গহন গভীর স্তব্ধতা, কবির ভাষায় নিশার মতো নীরব। এই পরিবেশে সবার অলক্ষ্যে যাত্রা পথিকের। 

আরও পড়ুন
নিমতলায় পৌঁছোতেই পারেননি কবিপুত্র, রবীন্দ্রনাথের মুখাগ্নি করলেন কে?

জ্যোতির্ময় রবির চারপাশে বরাবরই ছিল কালো মেঘের দল। আর এই মেঘ তাঁর শ্রাবণ-গানের মেঘের মত সজল স্নিগ্ধ, বিরহ-মিলন-সৃজনের খেয়ালে ‘নিতুই নব’ নয় মোটেই। এমন একটি গানেরও বিরূপ সমালোচনায়  পিছপা হন নি ‘সাহিত্য’ পত্রিকার সমালোচক- “শ্রাবণের ঘন গহনে পরিণত হইল, তাহাও বুঝিলাম। কিন্তু চরণ কেমন করিয়া গোপন হইল, তাহা বুঝিতে পারিলাম না। সাপের পা ‘গোপন’ বটে। কিন্তু এ গোপন চরণ কাহার?... নিলাজ নীল কি বুঝিতে পারিলাম না।” (ভাদ্র ১৩১৬)

        

সমালোচকের দল বাণীর অর্থ-বিদূষণ করেন তো করুন, কিন্তু সুর কী বলে? এ গানে আরোপিত সুর মিশ্র গৌড়মল্লার প্রকৃতির, যা সারা গানের শরীর জুড়ে নিবিড় মেঘসঞ্চারে সুর ছড়িয়ে দিয়ে পরম বাঞ্ছিত দয়িতের জন্য প্রতীক্ষার পটভূমি রচনা করে রেখেছে। এ গানের তাল হিসেবে প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় ঝাঁপতালের কথা উল্লেখ করেছেন, যা ১০ মাত্রার ছন্দ। কিন্তু স্বরবিতানে ২+৩=৫ - এইপর্বভাগ দেখা যায় ,  যা পড়ছে রবীন্দ্রসৃষ্ট ঝম্পক তালে- পাঁচ মাত্রার। এটিই গানের বাণীর সঙ্গে সুসঙ্গত বলে মনে করেছেন রবীন্দ্রসঙ্গীত বিশেষজ্ঞ সুবোধরঞ্জন রায়। আবার সনজীদা খাতুন বলেছেন, “ছন্দ-অতিরিক্ত ‘আজি’ অংশের পর রবীন্দ্র-সৃষ্ট তালের স্বাভাবিক ৩/২ ছন্দ দিনেন্দ্রনাথ ধরতে পারেননি। তবে তার বিষমগতি পাঁচ পাঁচ মাত্রার ভাগটি লক্ষ্য করে গানটিকে ঝাঁপতালে সাজিয়েছিলেন। [স্বরবিতানে] এ গানকে ঝম্পকে বিন্যাস করে দেওয়াতে অন্যায় দেখি না, বিশেষত বয়োজ্যেষ্ঠা ইন্দিরা দেবী যেখানে সম্পাদিকা।” (‘রবীন্দ্রসংগীতে স্বরলিপির কথা’, রবীন্দ্রনাথের গানঃ সঙ্গ অনুষঙ্গ)

আরও পড়ুন
বৃষ্টিভেজা শ্রাবণে প্রয়াত রবীন্দ্রনাথ, শেষযাত্রার ধারাবিবরণী দিলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র

এই ঝম্পক বিন্যাস মেনে গানটি পরিবেশনের ক্ষেত্রে উল্লেখের দাবি রাখে পূরবী মুখোপাধ্যায়ের রেকর্ডিংটি। আর ঝাঁপতাল-ঝম্পকের বিবাদে না গিয়ে, তাল ছাড়া গেয়েছেন দেবব্রত বিশ্বাস। গানটির মন্থর প্রতীক্ষার ভাবমাধুরী তাতে ব্যহত হয়নি। ‘নিশার মত নীরব’ ‘প্রভাত আজি মুদেছে আঁখি’ বা সঞ্চারীর ‘দুয়ার দেওয়া সকল ঘরে’- এই সকল শব্দবন্ধের গভীর অভিব্যক্তি এক অনন্য মাত্রা পেয়েছে তাঁর নিবেদনে।         

এবারে আসি কবির ছিয়াত্তর বছর বয়সে লেখা ‘আমি শ্রাবণ আকাশে ওই দিয়েছি পাতি’ গানটির প্রসঙ্গে। ১৩৪৪ সনের বর্ষামঙ্গলের জন্য লেখা হলেও, গানটির ছত্রে ছত্রে পাওয়া যায় সেই ‘অনাদি কালের বিরহ বেদনা’র আভাস, যা মহাকবি কালিদাসের মেঘদূত-রূপে রবীন্দ্রনাথের মনে ধরা দিয়েছিল তাঁর যৌবনেই। এ গান তাই ‘শতেক যুগের’ কবিকল্পনার সৃষ্টি, কোন ‘একলা কবির রচনা’ বললে বোধহয় ভুল হবে। গানটির আখর-যুক্ত(বিচিত্র) এবং আখর-ছাড়া(প্রকৃতি)- দুটি রূপেরই পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়, তবে পরিবেশনের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়টিই বেশি প্রচলিত। 

গানটির সঙ্গে যে ‘তুমি কি কেবলি ছবি’র সুরের গড়নের আশ্চর্য মিল আছে, তা ধরা পড়ে পঙ্কজকুমার মল্লিকের পরিবেশনায়। বিরহবেদনা পুরুষকণ্ঠেও যে এমন মর্মস্পর্শী হতে পারে, সেই ভাবটি ফুটে ওঠে তাঁর  তাঁর গায়নে। তবে গায়কি ও উচ্চারণে একটু প্রাচীনত্বের ছাপ হয়ত পরবর্তীকালের রবীন্দ্রসঙ্গীত-বিশেষজ্ঞদের ঠিক মনঃপূত হয়নি। রবীন্দ্রসঙ্গীতের বাণিজ্যিক রেকর্ড-সংস্কৃতির ‘স্বর্ণযুগ’-এর শিল্পীদের মধ্যে এ গানের আর একটি অনবদ্য নিবেদন পাওয়া গেল সুচিত্রা মিত্রের কণ্ঠে। শ্রাবণ আকাশে পেতে দেওয়া ‘জল ছলছল আঁখি’র ছবিটি ব্যক্তিগত বেদনার ভারকে অতিক্রম করে এক উদার ব্যপ্তির আভাস দেয় তাঁর গানে। বিলম্বিত কাহারবা তালে সাহানা রাগিণীর শান্ত বিষণ্ণতার ভাবরূপ আস্তে আস্তে মূর্ত হয়ে ওঠে তাঁর গায়নে – যেন এক অধরা অপ্রাপণীয়ের উদ্দেশে চির-অপ্রাপ্তির অঞ্জলি। যে গিয়েছে ‘দেখার বাহিরে’, এ যেন তারই পানে চেয়ে থাকা, তার বিদায়কালে ফিরে ফিরে চাওয়ার নিঃশ্বাসে নিজেকে জড়িয়ে রাখা।  

আরও পড়ুন
বোলপুরে 'পৃথ্বীরাজ পরাজয়' লিখলেন কিশোর রবীন্দ্রনাথ, ডাইরির সঙ্গে হারিয়ে গেছে সেই কাব্যও

শ্রাবণ-গানের ধারায় অধরা মাধুরীর কথা যখন উঠলই, একটি অপ্রাপ্তির কথা বলেই শেষ করি এ পর্ব। সত্তরের দশকে 'ত্রিবেণী' গোষ্ঠীর উদ্যোগে 'মেঘদূত' নামে একটি গীতি-আলেখ্য অনুষ্ঠিত হয়। এতে কালিদাস আর রবীন্দ্রনাথের মেলবন্ধন ঘটেছিল। আর হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল এমন সব গান যা সচরাচর তিনি গাইতেন নাঃ 'কোথা যে উধাও হলো', 'দূরে কোথায়, দূরে দূরে' আর 'আমি শ্রাবণ আকাশেওই দিয়েছি পাতি'। এক বিশিষ্ট সমালোচক লিখেছিলেন যে সামগ্রিক অনুষ্ঠানের কোন ত্রুটি থেকে থাকলেও তা ঢাকা পড়ে গিয়েছিল সেই অনুপম কণ্ঠের মহিমায়। অনুষ্ঠানটির কোনো লাইভ রেকর্ডিং কেউ করেছিলেন কিনা, আজ আর তা জানারও উপায় নেই। কেন যে এই গানগুলি রেকর্ড করে গেলেন না তিনি! আজকের শ্রোতাদের কাছে অধরাই রয়ে গেল তাঁর কণ্ঠে এই মেঘমেদুর গানগুলি শ্রবণের সুখ।   

কৃতজ্ঞতাঃ ডঃ প্রদোষ ভট্টাচার্য 

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
যদুভট্টের থেকে পালিয়ে বেড়াতেন রবীন্দ্রনাথ, স্বীকার করেছেন নিজের গানের সীমাবদ্ধতাও