মারা গেছেন কিম জং উন? মধ্যরাতে দাবি একাধিক মিডিয়ার, বাড়ছে গুঞ্জন

উত্তর কোরিয়ার প্রধান কর্তা কিম জং উন। সম্প্রতি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি। হয়েছিল হার্ট সার্জারিও। চিনের পক্ষ থেকে তাঁর চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের একটি দলও। কিন্তু তাঁর পরবর্তী শারীরিক অবস্থার কোনো খবরই জানানো হয়নি উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে। এবার গুঞ্জন উঠল, তাঁর মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। দেখা গেল একাধিক ট্যুইটও।

চিন এবং জাপানের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম ইতিমধ্যেই দাবি করেছে মৃত্যুর কথা। বেজিং এবং হংকং-এর দুটি টেলিভিশন চ্যানেলে বলা হয় এই তথ্য। হংকং-এর ওই টেলিভিশন চ্যানেলের ডিরেক্টর বেশ জোর দিয়েই এই কথা বলেন। স্যোশাল মিডিয়ায় ভিডিও আপলোড করেন একটি। তাঁর বক্তব্য, চিনের বিদেশমন্ত্রক থেকেই এই তথ্য জোগাড় করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এমনটাই বক্তব্য তাঁর। কিন্তু সত্যি যাচাই করা যাবে কীভাবে? এই কানাঘুষো খবর ছড়ালেও পুরোপুরি মুখ বন্ধ রয়েছে উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমের।

তবে বেশ কিছু সন্দেহজনক ঘটনা তাঁর এই মৃত্যুর গুঞ্জনকে রহস্যময় করে তুলেছে। গত দু’সপ্তাহে তাঁকে দেখা যায়নি দেশের কোথাও। এমনকি ১৫ এপ্রিলও না। সেদিন উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিমের পিতামহ দ্বিতীয় কিম সাং-এর উদ্দেশ্যে উৎসবের আয়োজন করা হয় প্রতিবছর। সেই উৎসবেও হাজির ছিলেন না তিনি।

উত্তর কোরিয়া সারা পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন একটি দেশ। সে দেশের মানুষের যোগাযোগ করার অধিকারও নেই বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে। অনেকটাই কিমের ইচ্ছের ভিত্তিতেই নির্ভরশীল উত্তর কোরিয়ার ভাগ্য। দেশের সামান্য খবরও সীমানার বাইরে বেরোতে পারে না সেখান থেকে। এমনই এক দেশের সর্বনেতা কিমের মৃত্যুও কি প্রকাশ পাবে না? নাকি সত্যিই জীবিত আছেন তিনি? ধাঁধার মতোই একাধিক রহস্যের মধ্যে জড়িয়ে এই প্রশ্ন। উত্তর জানা নেই কারোর…