সরকারের জন্য অপেক্ষা নয়, ১ কোটি টাকা খরচে গ্রামবাসীরাই গড়ে তুললেন সেতু

আসামের কামরূপ জেলার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে জলজলি নদী। প্রতি বর্ষায় তার চেহারা হয়ে ওঠে রীতিমতো ভয়ঙ্কর। তখন ৩০০ মিটারের বেশি চওড়া এই নদী পার করা প্রায় অসম্ভব। অন্যদিকে নদীর উপরে কোনো ব্রিজের অস্তিত্বও ছিল না। আর সেই ব্রিজ তৈরির জন্য সরকারের অপেক্ষায় বসে থাকেননি গ্রামবাসীরা। বরং নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে তৈরি করে ফেললেন ৩৩৫ মিটার চওড়া কাঠের সেতু।

সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে। আশেপাশের দশটি গ্রামের ৭ হাজার মানুষের উদ্যোগে তৈরি হয় ১ কোটি টাকার একটি ফান্ড। আর সেই টাকাতেই দুবছরের চেষ্টায় সেতু তৈরির কাজ শেষ হল। গ্রামবাসীরা নিজেরাই যদি নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে নিতে পারে তাহলে সরকারের অপেক্ষার কী প্রয়োজন? এমন কথাই শোনা গেল স্থানীয় সমাজকর্মী আচিং জিমের মুখে।

আসামের পুরনো অধিবাসীরা নিজেদের কাজ নিজেরাই করে নিতে পছন্দ করেন। তাঁদের ইতিহাসের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে সেই স্বাধীনতার অনুভূতি। এই প্রথম তো নয়, ২০১৮ সালের বন্যতে ডিহামলাই অঞ্চলের কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়লে গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগেই সেটি সরিয়ে তোলেন। সেবারেও সরকারের জন্য অপেক্ষা করেননি তাঁরা। নিজেদের উদ্যোগে মাত্র ৮ ঘণ্টায় সারিয়ে তোলেন ভেঙে পড়া সেতু।

আসামের গ্রামবাসীদের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এভাবেই হয়তো আগামী দিনে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলের মানুষ। নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে নিতে পারবেন নিজেরাই।